পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আমাদের শাসন ও শোষণ করেছে। সেই শাসন ও শোষণ থেকে যখন আমরা বেরিয়ে মুক্তির পথ খুঁজলাম, যখন আমরা পরাধীনতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মুক্তির লড়াইয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছি, তখন ভেসে আসে পাকিস্তানিদের দানবীয় চেহারা। মুক্তিযোদ্ধের ৯ মাসের সংগ্রামের সাথে জরিয়ে আছে আমাদের আবেগ, বেদনা। আমরা হারিয়েছি প্রিয়জনদের, হারিয়েছি অসংখ্য মানুষ।
বাঙ্গালিদের দমিয়ে রাখার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের এদেশীয় এজেন্ট- রাজাকার, আলবদর এবং আলশামস শুরু করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকান্ড। নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে গিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। প্রাণ হারায় লক্ষ লক্ষ মানুষ।
পৃথিবীর ইতিহাসে গনহত্যা সবচেয়ে নিকৃষ্ট অপরাধ। বিশ্ব সভ্যতার অন্যান্য হত্যাকান্ডের ইতিহাসকে পাকিস্তানিদের নিকৃষ্ট হত্যাকান্ড হার মানায়। ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত রেজুলেশন ২৬০ (৩) এর অধীনে “গণহত্যা এমন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বিশ্বময় প্রতিরোধে সকল রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ। এই গণহত্যা বলতে বোঝায় এমন কর্মকাণ্ড যার মাধ্যমে একটি জাতি, ধর্মীয় সম্প্রদা গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার প্রয়াস নেয় হয়েছে”
মুক্তিযোদ্ধাদের সময় পাকিস্তানিরা গণহত্যা চালায় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সহ তাদের সহায়তাকারীদের উপর। ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে হত্যাকান্ড থেকে শেরপুরও বাদ পড়েনি। সারা দেশের মতো শেরপুরও ছড়িয়ে রয়েছে পাকবাহিনীর নির্মমতার চিহ্ন। অসংখ্য গণকবর ও বধ্যভূমি।
গণহত্যার জায়গাঃ-
শেরী ব্রিজ
নাকুগাঁও ডালু হত্যাকান্ড
সোহাগপুরের গণহত্যা
জগৎপুর গণহত্যা
সূর্যদী গণহত্যা
নকশী বিওপি যুদ্ধ
নকশী যুদ্ধ
তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।