ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে শেরপুরের সাহিত্যের ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। তবে কোথাও শেরপুর জেলার লেখক ও তাদের রচিত বইয়ের তালিকা পাইনি। আলী আহাম্মদ খান আইয়োব রচিত ‘ময়মনসিংহের সাময়িকী ও সংবাদপত্র’ বই পড়ে জানতে পেরেছি বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রথম সাময়িকপত্রটি প্রকাশ হয়েছিল শেরপুর থেকে। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে বিশিষ্ট জমিদার ও লেখক হরচন্দ্র চৌধুরীর সম্পদনায় ‘বিদ্যোন্নতিসাধিনী’ নামে মাসিক সাময়িকপত্র প্রকাশিত হয়। এটির উদ্যোক্তা ছিলেন ’বিদ্যোন্নতিসাধিনী সভা’র’ সদস্যগণ। এরপর ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিলে সাপ্তাহিক ‘চারুবার্ত্তা’, একই সনে সাপ্তাহিক ’সুধাকর’, মাসিক ‘বঙ্গ-সুহৃদ’, প্রকাশিত হয়েছিল।
এই থেকে অনুমেয় সাহিত্যে শেরপুর কতটা সমৃদ্ধ। তবে সেই তুলনায় প্রাচীন বইয়ের কোন তথ্য এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি। ১৯৯০ সালে পণ্ডিত ফসিহুর রহমান রচিত ‘শেরপুর জেলার অতীত ও বর্তমান’ প্রকাশিত হয়। শেরপুরে কারা কোন বই রচনা করেছে তার কোন সঠিক তথ্য পাইনি। বর্তমানে কারা লিখছেন, তাদের কী কী বই প্রকাশিত হয়েছে সেই তথ্যও নেই। তাই শেরপুর জেলার লেখক ও তাদের লেখা বইগুলোর তালিকা করার ক্ষুদ্র প্রয়াস।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: লেখকের জন্ম সন অনুযায়ী শেরপুর জেলার লেখকদের তালিকা করা হয়েছে:
শেরপুর জেলার লেখক ও বইয়ের তালিকা
লেখকের নাম | প্রকাশিত বই | জন্ম | মৃত্যু |
সুনীল বরণ দে | বাঁধ ভেঙে দাও (ফেব্রুয়ারি ২০১০) | ১৯৩৮ | ২৮ আগস্ট ১৯৯২ |
আবদুর রহমান তালুকদার | মুক্তিযুদ্ধে নালিতাবাড়ি (ফেব্রুয়ারি ২০১১), মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর (ফেব্রুয়ারি ২০১৩), আর একটা যুদ্ধ চাই (২০১৪) | ১৯৪৮ | |
নূরুল ইসলাম মনি | হাজার সুরের প্রতিধ্বনি (১৯৯২), আমি, চলার পথে, অনন্ত ভাবনা, দেশের কবিতা, কালের গল্প, তুমি (২০২০), পাতিকা, আমরা, ঘরের পাশে বকুল গাছে, আমার কথা, নন্দিত জননী, শিউলি, শোভা, বাবলি, মোনালিসা | ১০ জানুয়ারি ১৯৬৩ | |
হাফিজুর রহমান লাভলু | সাঁঝবেলায় এসো (২০২১) | ২৩ আগস্ট, ১৯৬৯ | |
রফিক মজিদ | অদৃশ্য অনুভূতি (২০২০), মেঘালয়ে ফিরে দেখা-৭১ (মার্চ ২০২১), অভিমানি কন্যা (২০২৩) | ২ এপ্রিল, ১৯৭০ | |
হারুনুর রশীদ | বর্ণালী (২০১১), আত্মসমর্পণ (২০১৩), কবি-অভীর নামতা পাঠ (২০১৩), টুকুর টুকুর ছড়া (২০১৪), শতরূপা (২০২০) | ১৯৭১ | |
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম | ডিজিটাল বাংলদেশ (২০১৪) | ২১ ডিসেম্বর ১৯৭২ | |
জ্যোতি পোদ্দার | করাতি আমাকে খুঁজছে (ফেব্রুয়ারি ২০১৬), দুই পৃথিবীর গ্যালারি (২০১৯) | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ | |
মোঃ রাবিউল ইসলাম | স্বচ্ছ ভালোবাসা (ফেব্রুয়ারি ২০১৯) | ১৭ অক্টোবর, ১৯৭৪ | |
মোস্তাফিজুল হক | ইচ্ছে ডানার পাখি (২০১৭), মধুমতির তীরে (২০১৮), পরির মেয়ে (২০১৮), বাংলা ছড়া ও রাইমস (২০১৯), বিদেশি মজার গল্প (২০১৯), তিন রসিকের হাসির মেলা (২০১৯), জ্ঞানের আলো (২০১৯), ছয় দেশের ছয় রূপকথা (২০২১), মেঘ নিয়ে যা শঙ্খচিল (২০২১) | ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭৪ | |
মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ | বিয়ের পিঁড়িতে সুমি (২০০১), ছড়ায় ছন্দে হেরার জ্যোতি (২০০১), পালকি ভরা গল্পগুচ্ছ (২০০১), শরত ঋতুর ভালবাসা (২০০২), ঝরা গোলাপের সৌরভ (২০০২), নারী (২০০৫), ঘাস ফড়িং (২০০৬), না জাগালে ছন্দ (২০০৭), বিদেশ ফেরত স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা (২০০৭), মেঠো গ্রাম (২০০৯), প্রবাল দ্বীপের হাতছানি (২০০৯), জীবন যেমন (২০১০), শেরপুর জেলার ইতিকথা ও দর্শনীয় স্থান (২০১১), প্রেমের গল্প (২০১২), সোনামণিদের ছড়া – ১ (২০১৩), সোনামণিদের ছড়া- ২ (২০১৪), ছড়া দিয়ে গড়বো এদেশ (২০১৮), তোমাকে খুঁজে ফিরি চৈতালী হাওয়ায় (২০১৮), ফুলে ফুলে সুবাসিত ভোর (২০১৮), মজার মজার গল্প (২০১৮), প্রজাপতির রঙিন ডানা (২০১৯), ভোর হলো দোর খোল (২০১৯), আল্লাহর পরিচয় (২০১৯), ভালোবাসার পংঙক্তিমালা (২০১৯), জীবন ছোঁয়া (২০১৯), কবি (২০১৯), ছেঁড়া পালকের কাব্য (২০১৯), কবি উদ্যান (২০১৯), দুই বাংলার সমকালীন কবিতা (২০১৯), বাংলার রূপরেখা (২০১৯), বাতায়নে তার দেখা (২০১৯), বিষাদের জাল (২০১৯) | ১৯৮০ | |
আশরাফ আলী চারু | কাজল চোখের কান্না (২০০১), স্বপ্ন পশরা (২০১৮), মুখোশের মুখোশ (২০২০), ছড়ার দেশে পাখির বেশে (২০২১), টুনটুনির পাঠশালা (২০১৮), লালপুঁটি ব্যাঙমাসি (২০২০), অচিনপুরের গল্পের ঝুলি (২০২২), জাদুর কলম (২০২৩), উতং ভূতং ভূতের ছানা (২০২৩), নির্বাক জননী (২০১৮), বসন্ত ছোঁয়নি মন (২০২৩) | ১৯৮২ | |
আবুল কালাম আজাদ সরকার | ১৫ জুলাই ১৯৮৬ | ||
মোঃ সাগর আহমেদ | সিন্ধুর পদ্য (২০১৬) | ১০ ডিসেম্বর ১৯৯৫ | |
রোমেল খান | ১৯ জুলাই ২০০১ | ||
জান্নাতুল ফেরদৌস মিশু | ১২ এপ্রিল ২০০৩ |
শেরপুর জেলার লেখকদের তালিকায় কারো নাম বাদ গিয়ে থাকলে অনুগ্রহ করে কমেন্ট করে অবিহিত করার অনুরোধ রইল।