Our Sherpur

Tasnim Tamanna‎ : দেশী পণ্যের সাথে ঈদ

Tasnim Tamanna‎

Tasnim Tamanna‎: কখনো কেউ কি শুনেছে বা দেখেছে, পণ্য একবার কিনে দুইবার রিভিউ দেই কাস্টমার! হ্যাঁ, আমাদের উই-তে এটা হয়। এই যে যেমন আমি এখন তুলশীমালার গুণগাণ গাইতে চলে এসেছি ৩য় বারের মত। তুলশীমালাকে ঘরে নিয়ে আসা থেকে নিয়ে ইফতারে খাওয়ার রিভিউ তো দিয়েছিই, এখন আবার এসেছি ঈদের দিনের মনোতৃপ্তি জানাতে।

Products list of Our Sherpur
শেরপুর জেলার যেসব পণ্য আওয়ার শেরপুর এ পাওয়া যায়।

ঈদের দিন মানে স্বভাবতই ব্যস্ততার সাথে শুরু হয়, এরপর নিজেকেও তৈরি করার ব্যাপার থাকে। কিন্তু, বাড়িতে শুধু আমি আর মা থাকায় অতটা ব্যস্ততা ছিল না। একে একে সবই করলাম। আম্মা রান্না করলেন, ততক্ষণে আমার সব কাজ শেষ। খেতে বসলাম আমার প্রিয় তুলশীমালা চালের পোলাও আর গরুর মাংসের সাথে। আহা! কি তৃপ্তি।

এর গুনাগুণ সম্পর্কে আগেও তো লিখেছি আর এবারও সেই গুনাগুণ এর কারণে আমার আজকের ঈদের দুপুরের ভরপেট খানাপিনা হয়। আমার মা অবাক কারণ আমি কোন বারই প্লেট ভর্তি পোলাও নিয়ে একেবারে সাবাড় করি না। আজ করেছি! খাওয়ার পর পেট একটুও ভারী লাগেনি।

এরপর ঘরে এসে নিজের বাক্সের তৈরি সালোয়ার কামিজ আর তেজস্বী-র ওড়না জড়িয়ে পরিপাটি করে নিলাম নিজেকে। সাথে আমার হালকা কাজলের সাজ। এই তো আমি ঈদের জন্য তৈরি একেবারে। এখানে বিষয় হল এই ওড়না যা আমি এনিকা আপুর থেকে নিয়েছি। প্রথমবারের মত নিজ মন মতো একটা ওড়না পেয়েছি।

আমি আগে যখন সালোয়ার কামিজ পরতাম তখন ওড়না ভাল মানের পেতাম না। হয় প্রস্থে ছোট না হয় গায়ের সাথে লিপ্টে লেগে থাকে যা বেজায় বিরক্তিকর। শেষমেষ সালোয়ার কামিজ পরায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ না হলেও ১.৫/ ২ বছর পর এভাবে সালোয়ার কামিজে নিজেকে সাজিয়েছি। আর এখন থেকে এনিকা আপুর থেকে রেগুলারই সালোয়ার কামিজ সেট অথবা রেগুলার ব্যবহারের ওড়না নিব।

Pic : Tasnim Tamanna‎
Tasnim Tamanna‎’s from Facebook

আপু যেদিন পার্সেল পাঠান তারপরের দিনই চলে আসে কিন্তু সেদিন বেলা গড়ে যাওয়ায় আমি পরের দিন যেয়ে পার্সেল নিয়ে আসি। আমি একরকম গিট বাধার ডিজাইনের ছবি দেখে অর্ডার দিই কিন্তু প্যাকেট খুলে ছবির সাথে মিলাতে যেয়ে দেখি বাধার ডিজাইনটা আলাদা।

আপুকে জানালে আপু বলেন আমি ফেরত দিতে চাই কি না। দিলে উনি নিয়ে নিবেন। আমার টাকাও সাথে সাথে ফেরত পাঠিয়ে দিবেন। এই কথা না হলেও উনি আমাকে তিনবার বলেছেন। আমার ওড়নাটা বেশ ভাল লাগে চোখে দেখেই, আর শুধু গিট বাধার ডিজাইনই তো অন্যরকম হয়েছে তাতে আর কি! তার উপর এই লকডাউন পরিস্থিতিতে যে আমি আপার থেকে এই ওড়নাটাই পেয়েছি এটাই আমার কাছে তখন অনেক বেশি ছিল। তো গতকাল রাতে ঈদের সম্পূর্ণ জামা পায়জামা ওড়না ধুয়ে দেয়া হয়।

তেজস্বীর বাটিকের ওড়না
তেজস্বীর বাটিকের ওড়না। Pic: Tasnim Tamanna‎

বাটিকের ওড়নার সব থেকে বড় ভয় থাকে রঙ উঠার কিন্তু ওড়না থেকে কোনো রঙ উঠে নি। বুঝতে হবে, এটা আমাদের তেজস্বীনির ওড়না। যেমন তেমন তো আর না। একদম কোয়ালিটিফুল।

আজকে পরার পর আমার আরও ভাল লেগেছে কারণ ওড়নাটা পরিমিত মাপের যা আমার নামাজ পড়ার জন্য একদম উপযুক্ত। গায়ে লিপ্টে থাকে না, একদম আরামদায়ক ভাবে থাকে। কাপড়টা নরম, তাই বলে যে মুষড়ে পড়ে থাকতে তেমন না। যথেষ্ট আরামদায়ক ভাবে গায়ে থাকে। বাইরে পরার ক্ষেত্রে আমার জন্যে একদম পারফেক্ট যাকে বলে। সারাদিন পরেছিলাম কোনো অতিরিক্ত গরমভাব লাগে নি।

হুশ বুদ্ধিতে কাটানো ঈদ গুলোর মধ্যে এবারের এই লকডাউনের ঈদ কিভাবে যেন অনেক সুন্দর আর আনন্দে কাটলো। আমি আজ সত্যি অনেক খুশি। Md Daloare Hossain ভাইকে ধন্যবাদ চালের জন্য। Ummay Shahera Anika আপুকে ধন্যবাদ এবং ভালবাসা ওড়নার জন্য। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে সুস্থ রাখুক। এই পৃথিবী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। আমরা উইবাসী আরও আরও শপিং করি।

Leave a Reply

Scroll to Top