Our Sherpur

তুলশীমালা চালের পায়েস খেয়ে ফেদা – Saleha Begum

সালেহা বেগম: আমাদের উই এর জনপ্রিয় তুলশীমালা চাল। তুলশীমালা চালের খিচুড়ি ও পায়েস খেতে ইচ্ছে করেছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু জানুয়ারী মাসে আমেরিকার চলে যাওয়াতে ও তখন বিভিন্ন পেরেশানিতে নেওয়া হল না। আজ হাতে পেয়ে তাড়াতাড়ি পায়েস রান্না করে নিয়ে এলাম। আসেন আমরা সবাই একটু মিস্টিমুখ করি —?

মনে করছিলাম মার্চ মাসে ফিরে এসেই তুলশীমালা চাল নিব। কিন্তু ফিরে আসলাম সে সময় হঠাৎই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। দেলোয়ার ভাইয়ের তুলশীমালা চাল আর নেওয়া হল না। কয়েক দিন আগে ভাইয়া কে নক দেই চালের জন্য। কিন্তু ভাইয়া বললো লকডাউনে জন্য ডেলেবারি দিতে পারবেনা। আর আমাদের মিরপুরে অনেক কড়া লকডাউনে চলছে।?

দুই-তিন আগে দেলোয়ার ভাইয়াকে নক করে বললাম আবারও তুলশীমালা চালের জন্য। ভাইয়া বললো ডেলিভারি শুরু করেছে। কিন্তু আমার বাসার গলির মেন গেটে বেশ কড়াকড়ি নিয়ম চলছে। বাহিরের কাউকে আসতে দেয়না। আসলে আমাদের বাসার চারদিকের অবস্থা অনেক খারাপ। তাই একটু বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করি।?

যাই হোক আমি মনে আসা করছিলাম দেলোয়ার নিয়ে আসবে তুলশীমালা চাল। অনেকদিন উই পরিবারের সাথে দেখা হয় না। তুলশীমালা চালের উছিলায় ভাইয়ার সাথে দেখা হবে।? ভাইয়া রাতে জানিয়ে দিয়েছিল কাল ডেলেবারী দিবে। হঠাৎ ১২.৩০ ঘুম ভেঙে গেল। ফোন হাতে নিয়ে দেখি ৫/৬ টা ফোন। তাড়াতাড়ি কল বেক করলাম। ডেলেবারি ম্যান উত্তর এলো সে অপেক্ষ করতেছে — তালতলায়। খারাপ লাগলো উনাকে অপেক্ষা করানোর জন্য।? আমি কিন্তু ভাইয়াকে বলেছি ডেলেবারি ১২ টার পরে পাঠাতে। কারণ আমি ১২টা আগে ঘুম থেকে উঠতে পারিনা। ?

যাই হোক অবশেষে তুলশীমালাকে পেলাম আমি।? দারোয়ান কে আগে বলে আসছি তাই আর সমস্যা হয়নি। আসলে এমন কঠিন দিনে দেলোয়ার ভাইয়া যেভাবে হোম ডেলিভারি দিচ্ছে সেটা প্রসংশার দাবীদার। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।?

ডেলেভারি পাওয়ার সাথে সাথে আমার জামাই বলেন, কি এমন চাল যার জন্য এত ব্যাস্ত হয়ে গেছ, এখনই তা হলে একটু রান্না কর। কি রান্না করবে —ও বলে আগে একটু পায়েস রান্না কর। ঘরে দুধ ছিল না। ও তাড়াতাড়ি গিয়ে দুধ ২ কেজি নিয়ে আসলো — বলে ইফতারের তো সময় এখনো টাইম আছে তাড়াতাড়ি রান্নাকর —–?

আমার জামাই তুলশীমালা চাল হাতে নিয়ে বলে অনেক সুন্দর স্মেল তো, বলে ও প্যাকেট খুলে বলে আসলে অনেক সুন্দর একটা স্মেল আসছে —? যাক উনার পছন্দ হয়েছে। উনার আবার নিজে বাজারে গিয়ে কেনার অভ্যাস। অনলাইন একবারে পছন্দ না। সবসময় সংসারের বাজার সদাই নিজে কিনতে পছন্দ করেন। যাক –আজকে ব্রেকডাউন আসলে ওনার খুব পছন্দ হয়েছে।??

চুলায় পায়েস রান্না চলছে। কি সুন্দর গ্রান বেরুচ্ছে। জামাই ও ছেলে বলে চুলার কাছে গুর গুর করছে। কখন রান্না হবে। রান্না শেষ হতে বসে গেলাম তুলশীমালা চালের পায়েস। আসলে পায়েস তো সবসময় রান্না করি। আমার হাতের পায়ের নাকি অনেক মজার হয় আমার ছেলেমেয়েরা বলে। কিন্তু আজ এ তুলশীমালা চালের পায়েস খেয়ে বাবা ও ছেলে পুরাই ফেদা অন্য কোন চালের সাথে তুলনা হয় না —- আপনাদের ও কি একই অবস্থা —– ??

Leave a Reply

Scroll to Top