Our Sherpur

তুলশীমালার জন্য প্রচন্ড লোভ ও আগ্রহ – Saun Ara Jesmin

শাউন আরা জেসমিন: আমি শাউন আরা জেসমিন। রাজশাহীর মেয়ে। কাজ করি হাতের কাজের ডিজাইন নিয়ে। আমি ৭৫ দিন থেকে উই এর একটিভ মেম্বার। আমি যখন উইতে জয়েন্ট করি তখন গ্রুপেই কিছুই বুঝতাম না। তবে সবাইকে শুধু তুলশীমালা চাল এর গুণগাণ দেখতাম। আমি মনে মনে ভাবতাম এ আবার কোন চাল?? কোনোদিন তো নাম শুনিনি। মনের ভেতর প্রচন্ড লোভ জাগে আর অধির আগ্রহ। আমি মনে মনে ঠিক করে ফেলি আমার সেল হোক আর নাই হোক আমি এ চাউল কিনবো।

যেই কথা সেই কাজ। আমি ও আমার উনাকে বলি। উনি বলেন কিনবা। আমি আরো জানার জন্য শেখার জন্য উই এ লাইক কমেন্ট ও পোস্ট করতে থাকি। কিছুদিন পরে আমার অর্ডার আসে উই থেকে। আমি কিছু টাকাও পাই। কিছুদিন পরেই আমি Md Daloare Hossain ভাইকে নক করি এবং তুলশীমালা চাউল ৩ কেজি অর্ডার করি। কিন্তু প্যাকেজিং এর সমস্যার কারনে তিনি আমাকে বলেন আপু ২.৫ কেজি নাহলে ৪ কেজির প্যাকেট করা আছে। আমি বললাম তাহলে ২.৫ কেজি দেন। তিনি সাথে সাথে ৬০ টাকা ব্যাক করেন।এখন ২ দিন পরে কুরিয়ার থেকে কল করে আমাকে বলে আপনার ৪ কেজি চাল এসেছে শেরপুর থেকে। আমি তো অবাক! অর্ডার করলাম ২.৫ আর আসলো ৪ কেজি। আমি ভাবলাম আগে নিয়ে আসি তারপর দেখে ভাইয়াকে জানাবো। কিন্তু তার আগেই ভাইয়াকে অনলাইনে পেয়ে গেলাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম চাল কি ৪ কেজি পাঠিয়েছেন। ভাইয়া বলে আপু ২.৫ কেজি নেই তাই ৪ কেজি পাঠিয়েছি। আপু আগে বললে আপনি টাকার চিন্তা করবেন ভেবে বলিনি। আপু আপনি টাকার জন্য ভাববেন না। আপনি আগে ব্যবহার করেন। পরে সময় হলে টাকা দিয়েন। আসলে এতো ছোট মানুষ তবু ও তার চিন্তা চেতনা কতো বড়! তার ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে।আর এটার ১ মাত্র কারণ উই। উই এর প্রতিটা ক্রেতা বিক্রতা এতটাই অমায়িক যে কিছু বলার ভাষা থাকে না। আমি তো মহা খুশি।

এবার রান্নার পালা। আমি প্রথমে রান্না করলাম ভাতের মতো করে। এর এতো সুগন্ধ যে আমার মেয়ে বলে মামনি এখনই খাবো। আমার মেয়েটা রীতিমত তুলশীমালা চাল এর ফ্যান হয়ে গেল। আমার শাশুড়ী ও বর ও খুব পছন্দ করে এই চাউল। মেয়ের আবদারে প্রায়দিনই রান্না করছি এ চাল। কখনো ভাত কখনও খিচুড়ি আবার কখনও ফ্রাইড রাইস। সব রান্নাতেই অসাধারণ স্বাদ। আমার টাকা উসুল হয়েগেছে। আমি পুরো স্যাটেসফাইড। দোয়া ও শুভকামনা রইল ছোট ভাইটার জন্য।।।

Leave a Reply

Scroll to Top