Our Sherpur

ঈদ উল ফিতরে তুলশীমালা

দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনের পর খাবার রুটিনের পরিবর্তন শুরু হয় ঈদের দিন থেকে। তাই ঈদের দিন পরিমাণ মতো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। এবারের ঈদের যেহেতু বাহিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই সবাই স্পেশাল খাবারে মেতে থাকবে প্রিয়জনদের সাথে। ভাত, বিরিয়ানি, পোলাওর সাথে মুরগি, গরু,খাসীর মাংস যেটাই করেন ভোজ্য তেলের ব্যবহার কমাতে হবে নতুবা গ্যাস্ট্রিক, বদহজম সহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। স্পেশাল দিনের খাবারে স্পেশাল চাল থাকাই উচিত।

ঈদের সকালে তুলশীমালা: সকালের নাশতা সাধারণ হওয়াই শ্রেয়। নাস্তায় মিষ্টি জাতীয় খাবার ও চা-কফির সাথে রুটি বা বিভিন্ন পিঠাও রাখতে পারেন।  ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদের দিন মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া সুন্নত। তাই গরুর দুধের সেমাই ও পায়েস করা যেতে পারে। সুগন্ধির জন্য পায়েসে তুলশীমালা চালও ঘি ব্যবহার করা যেতে পারে।

তুলশীমালা

ঈদের দুপুরে তুলশীমালা: দীর্ঘ ১ মাস সিয়াম সাধনার পর দুপুরের খাবারে অনেকের বিলম্ব/অনিহা থাকে। তা উচিত নয়। দুপুরের খাদ্য তালিকার ভারি খাবারে পোলাও এবং ভাতের সাথে রাখতে পারেন দেশি মুরগি, গরু ও খাসির মাংস। সঙ্গে সালাদ ও সবজি রাখতে হবে। দুপুরের খাবার ম্যানুতে টক দই ও নরম খাবার রাখা খুবই ভালো হবে। এগুলো হজমে সাহায্য করবে। ভাত ও পোলাওতে তুলশীমালা চাল থাকলে গ্যাস্ট্রিক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

ঈদের রাতে তুলশীমালা: সারাদিনের ব্যস্ততার ইতি টেনে রাতের খাবার হওয়া চাই অন্যরকম। তাই বিভিন্ন আয়োজনের সাথে থাকতে পারে তুলশীমালার ফ্রাইড রাইস, মোরগ পোলাও সহ নানা রকম আইটেম। সবসময় মাথায় রাখতে হবে যেন কোন খাবার-ই অসুস্থতার কারণ না হয়। তাই তেল ঘি সহ সকল মসলা ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।

ঈদের দিন একটু বেশি রান্নাবান্না ও খাওয়া-দাওয়া হবে এটাই নিয়ম। তবে তা যেন অসুস্থ্যতার কারণ না হয়। স্বাস্থ্যসম্মত রান্না করে ছবি আপলোড দিবেন মন খোলে।

Leave a Reply

Scroll to Top