Our Sherpur

শেরপুরে সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবিকে সংবর্ধনা

রাবিউল ইসলাম: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত শেরপুরের গুণী কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল মহোদয়কে গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুর প্রেসক্লাবে কবি-সাহিত্যিকদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট প্রদান ও উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে কবিকে অভিনন্দিত করা হয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম আধার মহোদয়ের সভাপতিত্বে এবং কবি আইয়ুব আকন্দ বিদ্যুৎ স্যারের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত পরিসরে চমৎকার আয়োজন সুসম্পন্ন হয়েছে।

কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল
শেরপুরে সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবিকে সংবর্ধনা

দুঃখ লেগেছে একটাই তিনি এতো বড় মাপের একজন কবি অথচ আমরা অনেকেই তাঁকে শেরপুরে এই প্রথম দেখলাম। তাছাড়া উনার ভ্রাতা ড. শিহাব শাহরিয়ারও একজন গুণী কবি। তিনি ছিলেন প্রধান অতিথি। ছবির ব্যানারে যাঁর নাম মুখ্য আলোচক হিসেব স্থান পেয়েছে তিনি শেরপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সুধাময় দাস । তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা কোনো ব্যক্তিকে মূল্যায়ন করি অন্যকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে মূল্যায়িত হবার পর।”

আরেকজন আলোচক শেরপুরের বিশিষ্ট কবি শ্রদ্ধাভাজন তালাত মাহমুদ বলেন,” ব্যাঙ যেমন পাল্লায় মাপা কঠিন ঠিক তেমনি কবিদের একত্রিত করা কঠিন।” বিশিষ্ট কবি ও গবেষক শ্রদ্ধাভাজন জ্যোতি পোদ্দার স্যার পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি সম্পর্কে অল্প কথায় অধিক অজানা তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সমৃদ্ধ করেছেন।

এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কবি ও লেখক ড. আব্দুল আলীম তালুকদার, শ্রদ্ধাভাজন কবি হাদিউল ইসলাম, কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ, প্রেস ক্লাবের সম্পাদক জনাব আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল, কবি ও সাহিত্য সম্পাদক আরিফ হাসান মহোদয় এবং আয়োজক কমিটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক মোস্তাফিজুল হক

কবিতা আবৃত্তি
শেরপুরে সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত কবিকে সংবর্ধনায় কবিতা আবৃত্তি

কবির কবিতা থেকে চমৎকার আবৃত্তি উপস্থাপন করে আমাদের মুগ্ধ করেন কবিগণের সঙ্গে ঢাকা থেকে আগত আবৃত্তি শিল্পী পলি ও ঝিনাইগাতীর একজন কবি ও আবৃত্তিকার। অনুষ্ঠান শেষে কবি হামিদা কায়সারের একক কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। আমি শেরপুরের কবিদের কাতারে নাম লেখানোর জন্য কবি ও আমার প্রাক্তন সহকর্মী হামিদা কায়সারের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে আমরা যারা সাধারণ শ্রোতা কবি ছিলাম তারা সকলেই গুণিজনদের কথা শ্রবণে অনেক জ্ঞান আহরণ করেছি, সমৃদ্ধ হয়েছি। অপেক্ষায় ছিলাম সকাল ১০টা ৪০ থেকে আর বাসায় ফিরতে পেরেছি বিকাল ৪টার পরে। চমৎকার এই আয়োজনে আরও কবিসাহিত্যিক এবং সাধারণ জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে পারলে অনুষ্ঠানটি আরও পূর্ণতা পেতো বলে আমি মনে করি। তবুও যারা শ্রম, অর্থ ও মেধা দিয়ে এই আয়োজন সার্থক করেছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

জয় হোক কবিদের সকল শুভ চিন্তা ও কর্মের। একজন গুণী কবি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়ে আমাদের শেরপুরকে নন্দিত করার জন্য শ্রদ্ধাভাজন কবিকে আন্তরিক অভিনন্দন ।

Leave a Reply

Scroll to Top