Miftahul Jannat
আরিফা মডেলের কল্যাণে আমরা বিভিন্ন জেলার খাবারের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। শেরপুরের বিখ্যাত তুলশীমালা চাল, মন্ডা এবং নতুন সংযোজন গুড়ের সন্দেশের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি Md Daloare Hossain ভাইয়ার কল্যাণে।
ভাইয়ার কাছ থেকে গত বছর তুলশীমালা চাল নিয়েছিলাম এবং খেয়েও খুব ভালো লেগেছে। পোলাও, খিচুড়ি করে খেয়েছিলাম তখন। মনে মনে ভাইয়ার কাছ থেকে সন্দেশ জাতীয় কিছু চাচ্ছিলাম। এরপর কাকলি আপুর রিভিউ দেখে খুব ভালো লাগলো যে এইবার সন্দেশ ও যুক্ত হলো। আমার ব্যাক্তিগতভাবে খুব ভালো লেগেছিলো কারন আমি এখন যেকোনো সময় সন্দেশ অর্ডার করেই বাসায় বসে খেতে পারবো।
আমার এক অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গুড়ের সন্দেশ অর্ডার দিলাম ভাইয়াকে। সেদিন উনার রেগুলার ডেলিভারি ডেট ছিলো না। কিন্তু তারপরও ভাইয়া আমার আবদার রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছেন এবং একদিনের নোটিশে আমার জন্য গুড়ের সন্দেশ ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আমি তো মনে মনে ভেবেছিলাম যে হয়তো সম্ভব হবে না, কারণ আমার একার জন্য তো আর শেরপুর থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে আসা যায় না। তাও ভাইয়া ম্যানেজ করেছেন এবং আমার বাসায় প্রোডাক্ট সময় মতো ডেলিভারি দিয়েছেন। একজন কাস্টমার এর চাহিদা কে সম্মান জানানোর জন্য তিনি কোন ধরনের অজুহাত প্রদর্শন করেন নি। বরং সময়মতো চাহিদা পূরণ করতে পেরেছেন যা একজন সফল বিক্রেতার বৈশিষ্ট্য।
এরপর আসি টেস্টের ক্ষেত্রে। সন্দেশ তো আমার পরিবারের সবার খুব পছন্দ আর গুড়ের হলে তো কোনো কথাই নেই তাও শেরপুরের বিখ্যাত সন্দেশ।
এক বক্সে যথেষ্ট ছিলো যা সত্যিই মন ভরে যাওয়ার মতোন। আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার পর তারা আমাদের ও এই সন্দেশ দিয়ে আপ্যায়ন করে। তাই এর স্বাদ নেওয়ার সুযোগ ঘটে।
আমার তো প্রথমে খেয়ে খুব মজা লেগেছিলো। এরপর পরিবারের বাকি সদস্যদের খেতে দিলাম। আমার ছেলের হাতে দেওয়ার পর সে খুবই মজা করে খেতে লাগলো। মাথা নাড়িয়ে নাড়িয়ে খাচ্ছিলো। তাই ছবি তুলে ফেললাম কয়েকটা। আর ছোটো বোনের কাছে দেওয়ার পরে সেও খুব মজা লেগেছে বললো। তাই তারও একটা ছবি তুললাম।
আমার পরিবারের এবং আত্মীয়ের বাসায় যারাই খেয়েছে সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। তাদের কাছে এই সন্দেশ অথেন্টিক বলে মনে হয়েছে।
আমি যখন বললাম এটা শেরপুরের বিখ্যাত গুড়ের সন্দেশ তখন তারা আরো বেশী খুশী হয়েছে এবং আনন্দ নিয়েই খেয়েছে।
আরিফা মডেলের মাধ্যমে আমরা এইভাবে বিভিন্ন জেলার খাবারের সাথে পরিচিত হতে পারছি এবং ঢাকায় বসে তা নিজেদের আপন জনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারছি। দেলোয়ার ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি খাঁটি জিনিসের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু