শেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত
অনেকের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে শেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত? আপনাদের প্রশ্নের জবাব দিতে এই আর্টিকেল যথেষ্ট্য।
প্রত্যের জেলায় আলাদা বৈশিষ্ট্যের কিছু পণ্য, জায়গা, কাজ, ব্যক্তি ইত্যাদি থাকে। অনেক সময় একই পণ্য অন্য জেলাতেও হয়। কিন্তু আলাদা বৈশিষ্ট্যের কারণে এ জেলা টি হয়ে উঠে বিখ্যাত। উদাহরণ দিয়ে যদি বলি রসমালাই, চমচম, দই, মণ্ডা, পনির বহু জেলায় তৈরি হয়। কিন্তু আলাদা বৈশিষ্টের কারণে কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের চমচম, বগুড়ার দই ইত্যাদি সকলের কাছে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। শুধু কি তাই?
এইত গেলো, খাবারের কথা। যদি কাজের কথা বলি- জামদানি শাড়ি, মনিপুরী শাড়ি, খাদি শাড়ি ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই। এসব শাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায় উৎপাদন হলেও নারায়ণগঞ্জের তাঁতিদের জামদানি, সিলেট অঞ্চলের তাঁতিদের মনিপুরী শাড়ী, কুমিল্লার তাঁতিদের খাদি শাড়ির কাজ ও গুণে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। ঠিক একই ভাবে ব্যক্তি, জায়গা সহ প্রায় সব কিছুতে আলাদা গুণ ও বৈশিষ্ট্যের কারণে বিখ্যাত হয়। আজ আমরা জানব শেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত তা নিয়ে।
শেরপুরের বিখ্যাত খাবার
শেরপুরে বহুরকমের আঞ্চলিক খাবার রয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু খাবারের খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশ বিদেশে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছানার পায়েস, তুলশীমালা চাল ও মন্ডা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও পরিচিত খাবারের মধ্যে রয়েছে ছানার চপ, মহিষের দই ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : শেরপুর জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্পর্কে।
শেরপুরের বিখ্যাত ব্যক্তি
স্বাধীনতার আগে থেকে কিছু গুণীজন তাদের কর্মের মাধ্যমে বিখ্যাত হয়েছেন দেশবাসীর কাছে। তাদের মধ্যে অন্যতম শের আলী গাজী, বিপ্লবী রবি নিয়োগী, বীর বিক্রম শহীদ শাহ মুতাসিম বিল্লাহ খুররম, শহীদ নাজমুল আহসান, বীর প্রতীক জহুরুল হক মুন্সি, রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে করম শাহ, টিপু শাহ, ড. সৌমিত্র শেখর সহ অনেকে।
শেরপুরের বিখ্যাত পণ্য
শেরপুর জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। উচ্চফলনশীল ধান, পাট, সরিষা, আলু, বিভিন্নরকম শাকসবজি ইত্যাদি চাষ হয়। তবে এর মধ্যে শেরপুরের ছানার পায়েস, তুলশীমালা চাল, মণ্ডা, রাইস ব্রান অয়েল (এখন উৎপাদন হয় না), শিমুল/কাসাভা আলু ইতিমধ্যে সারাদেশে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে।
আরও পড়ুন : শেরপুর দর্শনীয় স্থান বিষয়ক সকল পোস্ট।
শেরপুর বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান
শেরপুরে এমন কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা অন্য কোথাও নেই। এই ইউনিক বৈশিষ্টের কারণে শেরপুরের মাইসাহেবা মসজিদ, গজনী অবকাশ কেন্দ্র, মধুটিলা ইকোপার্ক, অর্কিড পর্যটন কেন্দ্র, ডিসি লেক ইত্যাদি বিখ্যাত জায়গায় পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এ জেলায় রয়েছে- মমিনবাগ বাড়ী, নয়আনী জমিদার বাড়ির রংমহল, ঘাঘড়া খান বাড়ি জামে মসজিদ, নালিতাবাড়ির বিখ্যাত রাবারড্যাম ইত্যাদি।
আরও পড়্রুন : শেরপুর জেলা শিক্ষা বিষয়ক সকল পোস্ট।
শেরপুর বিখ্যাত কলেজ
ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তোলার একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শেরপুরে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো মধ্যে শেরপুর সরকারি কলেজ ও শেরপুর সরকারি মহিলা কালেজ রয়েছে।
শেরপুর বিখ্যাত স্কুল
শিক্ষার্থীদের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কর্তৃপক্ষ স্কুল গুলোর র্যাংকিং করে থাকে। শেরপুরের বিখ্যাত স্কুল গুলোর মধ্যে অন্যতম সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমী, জিকে পাইলট স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রকোনা রাজলক্ষ্মী স্কুল, নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কৃতিত্বের সাথে পাঠ দান করছে।
আমরা এমনভাবে কনটেন্ট রেডি করেছি আশাকরি শেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এই নিয়ে আর কোন প্রশ্ন নেই।
শেরপুর কিসের জন্য বিখ্যাত এই প্রশ্ন এখনো আছে?