ইফ্ফাত শারমিন : ‘ভাই আমার বলা মাত্র চাল পাঠিয়ে দেয়। এমনকি পেমেন্টের অপেক্ষাও করে না! আর আমি কুরিয়ার থেকে আনতে লেট, রিভিউ দিতে লেট। তবে খাওয়ায় কিন্তু লেট না, চাল ঘরে আনতে দেরি, শেষ হতে দেরি নাই।
Md Daloare Hossain ভাই এর তুলশীমালা চাল বলে কথা! আমার পুত্র এর নাম দিয়েছে ঘ্রাণ ভাত। সুন্দর মিষ্টি একটা ঘ্রাণ হয় এই চালের রান্নায় যেটা আমার ছেলের খুব পছন্দ হয়েছে। গ্রুপে এক্টিভ হওয়ার পর প্রথম আমার যে পণ্যের প্রতি চোখ যায় তা হোলো তুলশীমালা চাল। কাকলী আপুর রিভিউ থেকে আমি প্রথম নাম টা শুনি, পড়ে গুগলে সার্চ করে এ সম্পর্কে ডিটেইল লেখা পাই, যা সবই আওয়ার শেরপুর এর। পরে জানতে পারি এই আওয়ার শেরপুর উই এর তুলশীমালা খ্যাত দেলোয়ার ভাই এর ই স্টার্টআপ।
তুলশীমালা চাল আমার উই তে কেনা প্রথম পণ্য। প্রথম যেদিন হাতে পাই ওইদিন রোজা ছিলো, কিন্তু বাবুর জন্যে এক মুঠ রান্না করে ফেললাম দুপুরেই। বাবু সেই থেকে নাম দিয়েছে ঘ্রাণ ভাত। এর পর সেইদিনই ইফতারীতে, তারপরে আবার, তারপরে আবার এমন চলছেই এই পর্যন্ত অবিরাম। পোলাও, খিচুড়ি, বিরিয়ানি, ফ্রাইড রাইস একটার পর একটা চলছেই। ১০ কেজি চাল ফুরায়ে রিভিউ লিখতে বসছি, এটা আমার সংসারের নিত্য পণ্য হয়ে গেছে।

আমার বাসায় আমরা আড়াই জন মানুষ। ছেলে আর ছেলের বাবা প্রতি নিয়ত পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ফ্রাইড রাইস এসব চায়।দুজনেরই চাহিদা যেহেতু, আমার সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনই এগুলা করতে হয়। তাই আমার সবসময় চিন্তা থাকে কিভাবে খাবার গুলা লাইট রাখবো, রেগুলার খাচ্ছে যেহেতু জেনো স্বাস্থ্যকর হয় খাবারগুলো। খুব হালকা তেল মসলায় আমি খাবার রান্না করি তাও বাচ্চাটার পেটের সমস্যা হচ্ছিলো।
এত শখ করে খেতে চায় বাচ্চাটা কিন্তু পোলাউ এর চাল পর পর দুদিন খেলেই কনস্টিপেশন, গ্যাস ইত্যাদি সমস্যা হয় বাবুর। ডাক্তার দেখানোতে তিন বছরের বাচ্চাকে রেগুলার গ্যাসের ওষুধ খেতে হচ্ছিলো। তুলশীমালা আসার পর নিত্যদিন ছেলে আর ছেলের বাবার পছন্দের বিভিন্ন আইটেম রান্না হয় তুলশীমালা চালের এবং বাচ্চাটাও গ্যাসের ওষুধ থেকে মুক্তি পেয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। বাচ্চা খুশি, তাই আমরা মা বাবাও খুশি।
দেলোয়ার ভাই এর কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আমার সব সমস্যার সহজ সমাধান করে দেওয়া এই চালের জন্যে।‘
সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)।