Our Sherpur

তুলশীমালা চালের কৌতুহল – শামীমা আক্তার সিলভী

শামীমা আক্তার সিলভী : উই তে যখন জয়েন করি তখনই প্রথম শুনি তুলশীমালা চালের নাম। কৌতুহল ছিল এ চাল নিয়ে। ছবিতে দেখতাম এ তো সাধারণ আতপ চাল, মনে মনে ভাবলাম এ নিয়ে এতো মাতামাতি করার কি আছে??

গ্রুপে অনেকের পজিটিভ রিভিউ দেখলাম। দেখলাম MD Daloare Hossain ভাই বিক্রি করেন। সেই সাথে জানলাম আরো অনেকে এই চাল বিক্রি করছেন। প্রথমে তাদের একজনকে নক দিলাম, তিনি এতো বেশি পরিচিত নন গ্রুপে এবং সে দাম টা কম বললেও তাকে এ চাল সম্পর্কে জানতে চাইলে তার থেকে আশানুরূপ কোন তথ্য পাচ্ছিলাম না। মানে আমি একটা প্রশ্ন করলে তিনি শুধুমাত্র হ্যাঁ, না উত্তর দিচ্ছেন। অনেকটা খুচিয়ে খুচিয়ে জিজ্ঞেস করা আর কি? যেহেতু আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না তাই জানার আগ্রহ টা ছিল বেশি।

সাথে সাথে নক দিলাম MD Daloare Hossain ভাই কে। ভাইয়া দাম জানানোর সাথে সাথে এ চাল সম্পর্কে সবকিছু বলে দিলেন মানে আমার যত প্রশ্ন? ছিল উনাকে জিজ্ঞেস করার আগেই সব কিছু বলে দিয়েছেন। আর ভাইয়ার ব্যবহার খুব অমায়িক? আমার এতো কিছু বলার অনেক কারন আছে। যা একজন উদ্যোক্তার জন্য খুব বেশি প্রয়োজন। চলুন একটু জেনে নেই চাল সম্পর্কে-

? তুলশীমালা স্থানীয় (শেরপুর জেলা) উৎপাদিত চিকন, ছোট ও সুগন্ধি চাল। পোলাও, বিরিয়ানি, পায়েস, খিচুড়ি এবং ভাতে ব্যবহার হয়।

তুলশীমালা চালের বিশেষত্ব-
? সরাসরি কৃষকের ধান থেকে কোন প্রকার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা ছাড়াই সংরক্ষণ করা হয়।
? এ চালে গ্যাস্ট্রিক তৈরি/বাড়ে না।
? গ্যাস্টিক সমস্যা না হওয়ায় শিশু, বৃদ্ধ ও রুগীরা আগ্রহ নিয়ে খায়।
? খাওয়ার পর আরাম লাগে।
? রান্না হতে সময় কম লাগে।
? তুলশীমালা চাল সারা বছরই পাওয়া যায়। এসবগুলো তথ্যই ভাইয়ার থেকে পাওয়া।

আমার আরেকটা ব্যাপার খুব ভালো লাগছে তা হলো সাধারণত পোলাও খেলে খুব পানি পিপাসা পায় অথবা কোল্ড-ড্রিঙ্কস খেতে ইচ্ছা হয় কিন্তু এই চালের পোলাও তে সেরকম অনুভূতি হয়নি।

রোজাতে প্রথমে ২ কেজি নিয়েছিলাম আমার শ্বশুর বাড়ির সবার খুব ভালো লাগলো পরে ঈদের জন্য আরো ১০ কেজি অর্ডার করি আমার শ্বশুর বাড়ি আর আম্মুর বাসার জন্য। এবং আম্মুর বাসায়ও সবার খুব ভালো লেগেছে। এখন আবার অর্ডার করে আনিয়েছি? এ নিয়ে ৩ বার অর্ডার করা হয়ে গেছে।

আর ২ মাস পরেই আমার ছোট্ট মেয়ের ৬ মাস পূর্ন হবে তখন বাড়তি খাবারে তুলশীমালা চালের খিচুড়ি দিবো ইনশাআল্লাহ? ’যাকে আমার চিনি, তার থেকেই কিনি” এখন আমি এই কথাটাই মানি। পুরো পোস্টটি পড়ে আপনাদের আর কি কি মনে হয় জানাবেন।

তাই যাওয়ার আগে নিজের পরিচয়টাও একটু দিয়ে যাই?
আমি শামীমা আক্তার সিলভী
ঢাকার রায়েরবাগ থেকে।
কাজ করছি বাটিক ড্রেস, শাড়ি, দেশীয় কটন ড্রেস এবং বুটিকস এর ড্রেস নিয়ে।’

সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)

Leave a Reply

Scroll to Top