Our Sherpur

আমাকে ঋণী করে রেখে দিলেন – ফারজানা আফরোজ

ফারজানা আফরোজ : ’গ্রুপে তো সবাই দেলোয়ার ভাইয়ের তুলশীমালা চাল নিয়ে লিখেন কিন্তু আমি দেলোয়ার ভাইকে নিয়ে দুকলম লিখতে চাই। আমি ভাইকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি না। তিনি আমার ফেবু ফ্রেন্ডলিস্টে ও নেই। ভাইয়ের হয়তো আমার নামও মনে নেই।ভাইকে আমি ২৫ তারিখের মেলাতেই প্রথম দেখেছি। ভাইয়ের কাছে কেবল ১কেজি চাল অর্ডার করেছিলাম তাও দিন পাচেক আগে। ২৫ তারিখ সরাসরি নিব তাই নির্ধারিত ছিল। আসলে লাল আমন চালটা খাওয়া হয় বলে অন্য চাল খুব একটা কিনি না। পোলাও বিরিয়ানি আপাতত খাওয়া বারন ডাক্তার মশাই থেকে। দশ/বার দিনে একবার খাই তাই ভাইয়ের তুলশীমালা এখনো রান্না করা হয়নি তবে ইনশাআল্লাহ যখন রান্না করব রিভিউ অবশ্যই দিব।

যাইহোক যেহেতু মাত্র এক কেজি অর্ডার সেই হিসেবে আমি ভাইয়ের অনেক ছোট একজন ক্লাইন্ট। মেলা থেকে চলে আসার সময় টোকেন দিয়ে চাল নিলাম ভাইয়ের কাছে খুচরা ২০ টাকা ছিল না। ভাই বলল চাল এখন নিয়ে নিতে আর টাকাটা পরে বিকাশ করে দিতে কিন্তু তা মানতে আমি রাজি ছিলাম না কারন বাকিতে নেয়াটা আমার ভালো লাগে না বা কখনো নেই না। তাই আমি ভাইকে বললাম ঠিক আছে আমার বরতো আসছে তিনি আসলেই দিয়ে দিব যাওয়ার সময়। কিন্তু ভাই আবার এটা মানতে নারাজ এবং শেষ পর্যন্ত তিনি এই ২০ টাকাটা আর নিলেন না বরং আমাকে ঋণী করে রেখে দিলেন। প্রথম লেনদেনেই এতোটা ভরসা আমার মনে হয় না অনলাইন বা অফলাইন কোথাও সম্ভব উই ছাড়া। এখানে টাকাটা সত্যি মুখ্য না। ভাইয়ের আন্তরিকতা ও ক্রেতার প্রতি তার আচরনটাই মুখ্য।

ধন্যবাদ Razib Ahmed স্যার এতো পরিচ্ছন্ন এবং ভরসার একটা প্লাটফর্ম তৈরি করার জন্য। সরি দেলোয়ার ভাই আমার কাছে আপনার কোন ছবি না থাকাতে আপনার টাইমলাইন থেকে ছবিটি চুরি করে পোস্টে যুক্ত করলাম ‘

সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)।

Leave a Reply

Scroll to Top