সাবরিনা খান
সাবরিনা খান: তুলশীমালা নামটা আমি উই তে এসেই প্রথম শুনি। কেবল কাজের সূত্রেই বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ টি জেলা ঘুরেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় থেকেছি শেরপুর আর জামালপুরে। এলজিইডি কর্তৃক আয়োজিত নারী কর্মীদের ব্যবসায় পরিকল্পনা বিষয়ক ট্রেইনিং দিতে গিয়েছিলাম এবং দীর্ঘ দেড় মাস অতিবাহিত করি সেখানে। গ্রামের সহজ সরল গৃহিণী যারা ব্যবসা করতে চায়, উদ্যোক্তা হতে চায় ট্রেইনিং ছিল তাদের জন্য। প্রতিটি ট্রেইনিং ছিল ছয়দিন করে।
আমি চিরকালের মিশুকে মানুষ। একগাদা কথা বলি। আমার সাথে প্রথম দুদিন পরিচয় আর কাছে আসতেই সময় চলে যেত সেসব নারীদের। তৃতীয় দিন থেকে তারা বাড়ি থেকে রান্না করে এনে খাওয়াত আমাকে। আহা কি সেই স্বাদ। আর ষষ্ঠ দিনে যখন ট্রেইনিং শেষ করে চলে আসতাম সে যে কান্নার রোল উঠত! তা এখনো মনে করলে যেমন মন খারাপ হয় তেমনি এক ধরনের ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করে। এতটা আপন কেবল সেই সব গ্রামীন ভালো ও সৎ মানুষ গুলিই পারেন। কিন্তু তখনো এই চালের নাম শুনিনি।
আমার সিগনেচার পণ্য জাতীয় মাছ ইলিশ। কিন্তু আজ কেবল তুলশীমালার দিন।
সাবরিনা খান, প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ডোরা
তুলশীমালা চাল দিয়ে আজকে শুভ সূচনা করলাম পোলাও, গরুর গোশ আর মোরগ পোলাও। একটুও বাড়িয়ে বলছি না। যেমন তার সুঘ্রাণ, তেমনি অল্প সময়ে ঝুরঝুরে পোলাও হয়ে গেল। খেতেও যেন একেবারেই আর সব চালকে ছাড়িয়ে যায়। উই কে ধন্যবাদ এমন একটা চালের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। আর ইসমাইল হোসেন কে আন্তরিক ধন্যবাদ আমাকে Md Daloare Hossain ভাইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। আর দেলোয়ার ভাই এর তুলশীমালা চাল JUST WOW.