সুবর্ণা দাস : দেলোয়ার ভাই থেকে তুলশীমালা চাল আনার পর থেকে আমার ছেলের জন্য আর কখনো চিন্তা করতে হয়নি নিয়ম করে সকাল বিকাল সব সময় ওকে পায়েস রান্না কর খাওয়াতাম।
মাসখানেক আগে যখন গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন আমি সাথে করি কিছু চাল নিয়ে গিয়েছিলাম পরিবারের সবার সাথে একসাথে খাবো বলে। আমি নিজের হাতে রান্না করেছি পোলাও। সবাই খাওয়ার পর এত প্রশংসা করল এবং আমাকে জিজ্ঞেস করেছে এই চাউলটি কোথায় পেয়েছি, সবাইকে আমি আমার এই গ্রুপটির কথা, দেলোয়ার ভাইয়ের কথা, স্যারের কথা সবাইকে বলেছিলাম, অনেক খুশি হয়েছে সবাই।
এখন আমরা অনেক টা ঘরবন্দি জীবন-যাপন করতেছি। আমার হাসবেন্ড কে খুব একটা পাওয়া যায় না ওর চাকরি টাতে সব সময় বাইরে থাকতে হয়। যেহেতু বাড়িতেই আছে হঠাৎ করে আজকে বুদ্ধি আসলো তুলশীমালা চাউলে পোলাও খেয়েছি, পায়েস খেয়েছি কখনো খিচুড়ি রান্না করা হয়নি। সে মোতাবেক আজকে খিচুড়ি রান্না করলাম। বিশ্বাস করুন একটুও বাড়িয়ে বলছি না এত অসাধারণ,, অনেক ভিন্নধর্মী একটি স্বাদ অনেকদিন পর যার দেখা পেলাম। সবচেয়ে যে জিনিসটা আমার কাছে ভালো লেগেছে সাধারণত বাজার থেকে কেনা চাউলে পোলাও পায়েস রান্না করার পর পরই আমার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতো,, কিন্তু তুলসী মালা চাউলের পোলাও খাওয়ার পর আমার কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় নাই। এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি তুলসী মালা চাউল থেকে।
আরেকটি প্রাপ্তিযোগ হয়েছে আমার হাজবেন্ডের অনেক ভালো লেগেছে এবং সঙ্গে সঙ্গে বলেছে আমি টাকা দিব তুমি আবার অর্ডার করবে।