শেরপুর নিয়ে বিন্দু ছড়া
শেরপুর জেলা নিয়ে সংক্ষেপে বলি,
ছন্দের তালে তালে পাঠ করে চলি।
পূর্বের নাম ছিলো দশকাহনিয়া,
শেরপুর নামটাই এলো বা কী দিয়া!
দশকাহনিয়া নাম হলো যে কি করে,
দেখেছো কি কখনো ইতিহাস পড়ে?
ব্রহ্মনদ বলে যাকে মোরা চিনি,
পূর্বে এই নদ ছিলো না তো মিনি।
লোহিত্য সাগর ছিলো পূর্বের নাম,
পারাপার হতে হলে দিতে হতো দাম।
দুইপাশে লোকজন পার হতো যাঁরা,
বাৎসরিক দশ কড়ি গুণে দিতো তারা।
দশ কড়ি থেকে এলো দশকাহনিয়া,
এবার আমি বলবো শেরপুর নিয়া।
নবাবি আমলে এলো শেষ জমিদার,
শেরআলী গাজি নামে পরিচয় যাঁর।
গাজির খামারে আছে আজও তার স্মৃতি,
শ্রদ্ধার সাথে পায় কত প্রেম-প্রীতি।
শের আলী নাম থেকে শেরপুর পাই,
আরও কিছু তথ্য দিয়ে যেতে চাই।
শেরপুরের ইতিহাস সবচেয়ে বড়ো,
বিস্তর জানতে ইতিহাস পড়ো।
কিছু কথা না-ই বলি ফেলে রেখে যাই,
চৌরাশি সাল থেকে এই জেলা পাই।
স্বাধীনের পরপর ঘোষণা ঠিক হয়,
রাজনীতি দল এসে মহকুমা কয়।
প্রেসিডেন্ট এরশাদ ক্ষমতায় এলো,
শেরপুর জেলা নাম পূণর্তা পেলো।
শেরপুর নিয়ে যদি লিখে যাই তবে,
দশ ফর্মার বই দশ কুড়ি হবে।
এত বড়ো ইতিহাস কত গুণীজন,
নতুনেরা পড়ে দেখো ভরে যাবে মন।
আজকের শেরপুরে কতকিছু আছে,
জেলাটাই বাস করে প্রকৃতির কাছে।
বহুজাতি মিলেমিশে করি বসবাস,
বারো মাস করে যাই ধান আলু চাষ।
সবুজের সমারোহে ভরে মন আঁখি,
সব আছে কমবেশি রেললাইন বাকি।
বালু কনা পরিমাণ হলো না তো লেখা,
শেরপুর জেলা যেন এক মহা রেখা।
এখানেই ইতি টানি আজ আর নয়,
শেরপুর জেলাবাসীর জয় হোক জয়।