Rakimun Binte Maruf Joya
শেরপুরের মন্ডা আমাদের বাসায় সবার পছন্দের। একদিন দেলোয়ার ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম শীতকালে গুড়ের মন্ডা তৈরি হয় নাকি। শীতের দিনে গুড়ের তৈরি যেকোনো মিষ্টান্ন খেতে খুব ভালো লাগে। আমি আর আম্মু গুড়ের সন্দেশ খুবই পছন্দ করি। দেখা যায় প্রতি বছর শীতকাল জুড়ে গুড়ের সন্দেশ যেখানেই পাই সেখান থেকেই কিনে খাওয়া হয়। তবে হাতে গোনা দুই একটা জায়গা ছাড়া কোথাও থেকে সন্দেশ খেয়ে তৃপ্তি পাই না। গুড়ের মিষ্টি একটা গন্ধ আর হালকা মিষ্টি ভাবটা অনেক জায়গায়ই থাকে না।
সেদিন কাকলি আপুর বাসায় দেলোয়ার ভাই পরীক্ষামূলকভাবে টেস্ট করানোর জন্য শেরপুরের গুড়ের সন্দেশ নিয়ে এসেছিলেন। সন্দেশে এক কামড় দিয়েই দেলোয়ার ভাইকে বলেছি আমাকে এই সন্দেশ দিবেন। মুখে নিতেই গুড়ের মিষ্টি গন্ধটায় একদম মন ভরে যায়। এই সন্দেশটা হালকা মিষ্টি। তাই খাওয়ার পর অস্বস্তি লাগে না। একসাথে একাধিক পিস খেলেও খারাপ লাগে না। গত তিনদিনে বেশ কয়েকবার দেলোয়ার ভাইকে জিজ্ঞেস করেছি আমরা সন্দেশ কবে ডেলিভারি দিবেন। (মিষ্টি জিনিসের ব্যাপারে আমার একটু দুর্বলতা রয়েছে)।
রাত থেকে শরীরটা ভালো না। কিছু খেতে ইচ্ছা করছে না, খাওয়ার রুচি ও হচ্ছে না। কিন্তু গতকাল এই সন্দেশ হাতে পেয়ে বাসায় আসার পর থেকে একটু পর পর ভেঙ্গে ভেঙ্গে খাচ্ছি। এটা খেতে ভালোই লাগছে। সন্দেশটা খুবই ফ্রেশ। আর নরম। আমার ভালো লাগে নরম ধরনের সন্দেশ। মিষ্টি জিনিস পছন্দ করলেও আমি মিষ্টি খাবারের খুব খুঁতখুতে। অতিরিক্ত মিষ্টি আর শক্ত ধাঁচের সন্দেশ আমার ভালো লাগে না। সে হিসেবে শেরপুরের এই গুড়ের সন্দেশ একদম আমার মনমতো স্বাদের।
দেলোয়ার ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ এত ফ্রেশ ও সুস্বাদু সন্দেশ শেরপুর থেকে আমাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য। স্যারের একটা কথা বারবার মনে হচ্ছে, ই-কমার্সের কল্যাণে আমরা ঢাকায় বসে অন্য জেলার ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু খাবার টেস্ট করার সুযোগ পাচ্ছি।
Table of Contents
পোস্ট সূত্র : ফেসবুক।
আমার সাথে মিলে গেছে আপনাদের পছন্দ🥰