মোঃ দেলোয়ার হোসেন: অন্যান্য ধানের মতই তুলশীমালা ধানের চাষ করতে হয়। তবে এ ধান চাষে একটু ভিন্নতা রয়েছে। এ পোস্টে আপনাদের জানাবো এ ধানে চাষা পদ্ধতি সম্পর্কে। তুলশীমালা ধান স্থানীয় ভাবে প্রচলিত জাত। অর্থাৎ শেরপুর জেলা, জামালপুর ও নেত্রকোনার ১-২ টি করে উপজেলায় উৎপাদন হয়। অন্য কোন জেলার মাটিতে তা উৎপাদন হয় নি এখন পর্যন্ত।
আমন মৌসুমে চাষ হয় তুলশীমালা ধান। তাই ধানের জালা (চারা) করার জন্য জুন-জুলাই মাসে প্রস্তুত করতে হয় বীজতলা। প্রতি শতক জমিতে ১ কেজি হারে ধানের বীজ লাগে। বীজতলায় জালা (ধান) ফেলার পর থেকে চারা রোপনের উপযোগী হতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন। জুলাই-আগষ্ট মাসে জমিতে গোবর বা জৈব সার ছিটিয়ে ২-৪ টি চাষ দিয়ে চারা রোপনের উপযোগী করে ৩-৩.৫ ইঞ্চি দূরত্বে ২ টি করে চারা গাছ রোপন করতে হয়।
বীজতলার জালা (চারা) থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত সময় লাগে ১৩৫-১৫০ দিন। জমিতে ’সেচ ছাড়া’ উৎপাদন করতে হয় তুলশীমালা ধান। প্রতি হেক্টরে ফলন হয় ২.৫-৩ মে. টন (প্রতি একরে ২৫-৩০ মন)। সেচকৃত জমিতে ফলন হয় না। জমিতে ১-২ বার আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। ৮০-১২০ সে. মি.পর্যন্ত উচুঁ হয় তুলশীমালা ধান গাছ। নভেম্বর-ডিসেম্বরের কুয়াশায় ধানের শীষ ভারী হয়ে হেলে পড়ার প্রবণতা থাকে। ডিসেম্বর মাসে পাকা ধান কাটা হয়। ক্ষেতের পাশে কিংবা বাড়ির উঠোনে অনন্দঘন কঠোর পরিশ্রমে হাতে সম্পন্ন হয় মাড়াইয়ের কাজ। তবে কেউ কেউ সাহায্য নেয় ধান মাড়াইয মেশিনের।
সূত্র: কৃষি বাতায়ন।