Our Sherpur

অভিমানী কন্যা

অভিমানী কন্যা

অভিমানী কন্যা

এক বৈঠকে পড়ে শেষ করলাম কবি, সাংবাদিক ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী রফিক মজিদের গল্প সংকলন ’অভিমানী কন্যা’। তিনি ১৭টি ছোট গল্প নিয়ে তেইশের বই মেলায় প্রকাশ করেছেন বইটি। পাঠক হিসেবে আমার মতামত তোলে ধরবো অভিমানী কন্যা নিয়ে।

Products list of Our Sherpur
শেরপুর জেলার যেসব পণ্য আওয়ার শেরপুর এ পাওয়া যায়।

চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে আমরা জিআই পণ্য নিয়ে কাজ করছি তাই আঞ্চলিক সাহিত্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমাদের কাজে। জিআই পণ্যের প্রধান ৩টা শর্তের একটি হচ্ছে পুরাতন দলিলের রেফারেন্স। আর দলিল হিসেবে আমরা সাহিত্যকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। এ কারণে পড়া হয় আঞ্চলিক বইগুলো। লক্ষ্য থাকে যদি সেই বই পড়তে গিয়ে পেয়ে যাই সম্ভাব্য জিআই পণ্যের নাম, তাহলে সামনে এগিয়ে যাবে আমাদের কাজ। আমরা জিআই পণ্যের জন্য যেমন বই প্রত্যাশা কবি রফিক মজিদ ঠিক তেমনি একটি বই লিখেছেন অভিমানী কন্যা।

বইটি শেরপুরের জিআই রেফারেন্স-সহ অনেক কিছুরই রেফারেন্স হয়ে থাকবে যুগযুগ ধরে। হয়তো বিজ্ঞদের আলোচনায় সাহিত্য হিসেবে বইটির কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি বের হবে কিন্তু একজন পাঠক হিসেবে এবং জিআই পণ্যের ভলান্টিয়ার হিসেবে অভিমানী কন্যা আমাদের কাজে খুবই উপযোগী এবং মূল্যবান!

বইটি অনেক আগে সংগ্রহের ইচ্ছা থাকলেও বিভিন্ন কারণে দেরি হয়েছে ৫ মাস। একাধিকবার সৌজন্য সংখ্যা পাওয়ার সুযোগ পেলেও অপেক্ষা করছিলাম কিনে নেওয়ার এবং কিছু সংখ্যা সংগ্রহে রাখার। কারণ একাধিক পাঠকের মন্তব্য পড়ে জেনেছি শেরপুরের জেলা ব্র্যান্ডিং পণ্য তুলশীমালা চালের একটি গল্প আছে বিদেশির সাথে। বইটি পাঠ করে দেখি মন্ডা নিয়েও একটি গল্প আছে “বাবাদের ফিলিংস নেই” নামে। এই গল্পে গুরুত্ব পেয়েছে বাবা স্নেহ, ভালোবাসা আর অভিমান। আর গল্পটি হয়তো সব বাবাদের জন্যই প্রযোজ্য। হয়তো ভবিষ্যতে বাবা হলে আমার সাথেও তৈরি হতে পারে সন্তানের তেমন দৃশ্য।

অভিমানী কন্যা রফিক মজিদ
অভিমানী কন্যা, রফিক মজিদ

বইটি তিনি লিখেছেন নিজের দেখা ঘটনা থেকে। অনেক ঘটনার সাথে লেখক নিজেও সম্পৃক্ত রয়েছে। প্রতিটি গল্পেরই অনেক কিছু আমার চেনাজানা। একটি গল্প আছে ”রাগ না অভিমান” নামে। যেটার সাথে আমারও খানিকটা মিল খুঁজে পেয়েছি। যেমনটা ছাত্র নেতা রবিন পারভেজ ১০ বছর পর জেনেছিল আসলে বান্ধবীর সাথে এটি রাগ ছিল নাকি অভিমান। রবিন জেনেছে ১০ বছর পর আর আমি জেনেছি ৯ বছর পর।

তবে বইয়ের শেষ গল্প অর্থাৎ “ত্রিপুরার কন্যা সুমিতা বর্মণ” পড়ে আমার মনে একটি প্রশ্ন তৈরি হয়। লেখক সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমনের সাথে সুমিতার যে ভালোবাসার বর্ণনা করেছেন সেখানে কি সত্যিই কোন সুমন নামে চরিত্র ছিল নাকি লেখক নিজেই সেই সুমন? যে হাবুডুবু খাচ্ছে সুমিতার প্রেমের সাগরে? যার মায়া বছর বছর ছুটে যায় ত্রিপুরায়?

Leave a Reply

Scroll to Top