Khatun A Jannat Asha
বেবি শাওয়ার প্রোগ্রামের উদযাপন শুরু হয়েছিল প্রাচীন মিশরে। পরবর্তীতে এটি ধীরে ধীরে সারাবিশ্বেই ছড়িয়ে যায় এবং বিভিন্ন নামে পরিচিতি লাভ করে। ভারতবর্ষে এটি মূলত ‘সাধ’ বা ‘সাত’ নামে পরিচিত, যা প্রেগ্ন্যাসির ৭ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর করা হয়। আর আমাদের ময়মনসিংহের আঞ্চলিক সংস্কৃতিতে প্রচলিত আনুষ্ঠানিকতা যা ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছি, তা হলো হবু মা কে ‘ক্ষীর-পিঠা’ খাওয়ানোর আয়োজন।
তবে আমার আসলে একদমই মাথায় ছিল না এমন কোনো আনুষ্ঠানিকতা এই সময় করা হবে বা করব। কারণ নারী থেকে মাতৃত্বের স্বাদ নেয়ার এই জার্নিটা খুব সেনসেটিভ আমার কাছে। অনেক শারীরিক মানসিক জটিলতা আর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, মাথায় চিন্তা একটাই থাকে আল্লাহ যেনো সুস্থ ভাবে আমার সন্তানকে দুনিয়ার আলো দেখার তৌফিক দেন। তাই সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম।
কিন্তু বড় বোনদের শখের কাছে হার মানতেই হলো। Mohsina Akter Rita আপু রীতিমতো যেনো শপথই করলো ছোট করে হলেও আয়োজন করবেই করবে, শানজিদা ইয়াসমিন সুইটি আপুরও সেই একই ইচ্ছে। আর তারপর বাকি কাজিনরাও যুক্ত হলো। কয়েক ধরনের পিঠা, পায়েস, রোস্ট, বড়া ইত্যাদি সব রিতা আপু সুইটি আপু মিলে বানিয়ে নিয়ে আসলো।
আম্মু বাসায় করলো তুলসীমালার পোলাও, গরুর মাংস, ইশা বানালো পুডিং আর কেক নিয়ে আসলো। সবমিলিয়ে ছোট থেকে মাঝারি আকারে ঘরোয়া বেবি শাওয়ার বা সাধ বা ক্ষীর-পিঠার আয়োজন হয়ে গেলো এভাবেই! এই স্মৃতিটা সারাজীবন সুন্দর একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে এটাই প্রত্যাশা করি।
Table of Contents
পোস্ট সূত্র: ফেসবুক।