তুলশীমালা চালের ফ্যান হয়েছি
Tajnin Naher Ishaq : “অনেক আগে দেলোয়ার ভাইকে কমেন্টে বলে রেখেছিলাম একদিন তুলশীমালা চাল অর্ডার করবো। তো এরপর থেকে অপেক্ষায় ছিলাম বাসার রেগুলার চাল কবে শেষ হবে আর আমি তুলশীমালা চালকে ঘরে বরণ করে আনবো।
এই তো গত ১০-১২ দিন আগে বাসার চাল শেষ হবে হবে করছিলো। তখন দেলোয়ার ভাইকে জানালাম আমার তুলশীমালা চাল চাই। ভাই আমাকে দাম এবং অর্ডার প্রসেস বলে দিলেন। দাম শুনে প্রথমে একটু ধাক্কা খেয়েছিলাম, কারণ আমি তুলশীমালা চালকে এতোদিন ধরে রেগুলার চাল ভেবে এসেছি। তাই তো বাসার রেগুলার চাল কবে শেষ হবে সেই অপেক্ষায় তুলশীমালা অর্ডার করিনি এতোদিন। যা হোক, ভাইকে এতোকিছু তখন বলিনি, সিম্পলি অর্ডার করে দিয়েছি। মাশাল্লাহ ভাই এর সার্ভিস বেশ দারুণ। অর্ডার দেওয়ার দিনই উনি চাল কুরিয়ার করে দেন। আমাকে ট্র্যাকিং নাম্বারও সেন্ড করে দেন।
আমি চাল হাতে পাওয়ার কয়েকদিন পর খিচুড়ি রান্না করেছিলাম আম্মুর জন্য। বেশ ভালো লেগেছে আম্মুর কাছে। আমার কাছেও। কিন্তু সেদিন খিদে পেটে আর ছবি তোলার কথা মনে ছিলো না। আর আজ তো আমার রান্না দিবস। আজকে দুপুরে তাই তুলশীমালা দিয়ে বিফ বিরিয়ানি করেছি। নিজের হাতে বানানো ইন্সট্যান্ট মসলা দিয়ে আমি বিরিয়ানি করি। বিরিয়ানি খেয়ে ঢেকুর তোলাও শেষ। তবে আজকে আর ছবি তোলার কথা ভুলিনি।
তুলশীমালা চাল এর নাম শুনে আমি এটি ট্রাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মনে হয়েছিলো, যার নাম এতো সুন্দর তার কাজও হয়তো সুন্দর হবে। সত্যি বলতে কি, তুলশীমালা চাল খেয়ে আমি এর ফ্যান হয়ে গেছি। কারণ বহুবছর ধরে পোলাও-বিরিয়ানিতে চিনিগুড়া চাল খেয়ে অভ্যস্ত আমি সবসময় ভাবতাম, পানির পরিমাণ একটু এদিক ওদিক হলেই চিনিগুড়া চাল সাথে সাথে চান্স নিবেই। বেটার অপশন থাকলে ভালো হতো।
শুকরিয়া তুলশীমালা চাল ট্রাই করতে পারার সুযোগ পেয়েছি বলে। রিযিক বলেও একটা ব্যাপার আছে। দুই দুইবার তুলশীমালা চাল রান্না করে আমার মনে হয়েছে, এই চাল ডেফিনিটলি চিনিগুড়া থেকে বেটার। একই কায়দায় রান্না করে তুলশীমালা চাল ভর্তা হয়ে যাওয়ার টেন্ডেন্সি আমি পাইনি। এর স্বাদও বেশ মুখরোচক। সবশেষে, অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই Md. Daloare Hossain ভাইকে এরকম একটি দেশি চালের সাথে আমাকে পরিচিত করার জন্য। দেশি পণ্যের জয় হোক।
বিঃদ্রঃ দুঃখিত ছবিতে বিরিয়ানির আসল চেহারা ফুটিয়ে তুলতে পারিনি। এসব পোলাও-বিরিয়ানি সামনে রেখে ফটোগ্রাফি করতে পারার জন্যও এক্সট্রা কলিজা দরকার।”