ফারহানা আক্তার লাকী
ফারহানা আক্তার লাকী আপু আওয়ার শেরপুর এর টপ কাস্টমারদের একজন। আমরা যখন তুলশীমালা চালের বিক্রি শুরু করি আপুকে আমরা তখন থেকেই আমাদের নিয়মিত কাস্টমার হিসেবে পাই। আমাদের সাথে কেনাকাটার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে প্রোডাক্ট ও সার্ভিস নিয়ে আপুর সাথে কথপোকথন করি। তিনি আমাদের ভালো দিক গুলোর পাশাপাশি কিছু মূল্যবান পরামর্শও দেন। যেটি কে আমরা সবসময় স্বাগত জানাই এবং আমাদের কাস্টমারদের এব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করি। আশাকরি আপু সহ আমাদের সকল ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাদের শুভ কামনা এবং পরামর্শ অব্যাহত রাখবে। আপুর উত্তর গুলো হুবহু নিচে দেওয়া হলো-
উই গ্রুপে দেলোয়ার ভাই এর পোষ্ট থেকে প্রথম তুলশীমালা চাল আর শেরপুরের মণ্ডার নাম শুনি। মণ্ডা নিয়ে খুব বেশি বলার কিছু নাই। সব সময় টাইমলী ডেলিভারি পেয়েছি, প্রতিটা মণ্ডা আলাদাভাবে প্যাক করা। অল্প মিষ্টি আর মুখে দিলে অন্য মন্ডার মতো আটকে যায় না। নিজের পরিবারের জন্যে, গিফট এর জন্যে এমন কি অফিশিয়াল প্রোগ্রামে ও মণ্ডা আমাদের পছন্দ ছিল। সব দিক থেকেই ১০/১০
তুলশীমালা চাল এর ফ্লেবার অনেক ভালো। বাসায় রান্না বসালে সবাই বুঝতে পারতো বিশেষ কিছু রান্না হচ্ছে। ভাত, পোলাউ, খিচুড়ী, বিরিয়ানি, পায়েস, মুড়িঘন্ট সব কিছু সব সহজেই রান্না করা যায়। প্রোডাক্ট ও সার্ভিস উন্নয়নে আমার পরামর্শ হলো- চালের প্যাকিং এর দিকে নজর দিতে হবে। এক কেজি করে ইনটেক প্যাক থাকলে আকর্ষণীয় হবে। আমি প্রতিবার পলিব্যাগ এ পেয়েছি। যেটা ভালো উদ্যোগের সাথে মানায় না।
অর্ডার গুলো রিসিভ করার পরে ফোনে একবার কনফার্ম করলে ভালো হয়। আর ডেলিভারি যখন দেওয়া হবে তখন আগে একটু ইনফর্ম করলে সেটা কাস্টমার এর জন্যে ভালো। ডেলিভারিতে দু এক বার সমস্যা হয়েছে তবে সেটা আমি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করি। ভ্যালিড রিজন ছিল।
আমি সাধারণ চালের সাথে সামান্য তুলশীমালা চাল মিশিয়ে ভাত রান্না করে বরের অফিসে লাঞ্চ দিতে শুরু করি। দুপুরে একদিন তার সহকর্মী তাকে জিজ্ঞেস করে যে সে কি প্রতিদিন পোলাউ নিয়ে আসে। আসলে অফিসে সবাই ওভেন এ খাবার গরম করে খায়। ওর খাবার গরম করার সময় খুব সুন্দর পোলাউ এর স্মেল আসতো তাই উনি জানতে চান।
আমাদের সকল কাস্টমার সাক্ষাৎকার এখানে।