ইফফাত শারমিন : ”আওয়ার শেরপুর” ফেসবুক পেজ টা দেখলে সবার প্রথমে আমার পরিচ্ছন্ন লোগোটার দিকে চোখ যায় এবং কাভার ফটোতে প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো দেখতে পাই, যেমন : বর্তমানে বিকাশে পেমেন্টে করে ক্যাশব্যাক অফার সম্পর্কে একটা ইনফোগ্রাফি কভারে দেওয়া আছে। এছাড়াও পেজে তুলশীমালা চাল এবং মন্ডা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি ই-কমার্স সম্পর্কিত অনেক তথ্যমূলক পোস্ট পাই এইজন্য এই পেজ আমি নিয়মিত ভিজিট করি।
আওয়ার শেরপুর এর যদিও কোনো ফেসবুক গ্রুপ নেই, তবে আমার মনে হয় থাকলে মন্দ হতো না। আমরা যারা তুলশীমালা চালের নিয়মিত গ্রাহক, তারা এই চাল দিয়ে বিভিন্ন রকম রেসিপি ট্রাই করি। যখন যেটা রান্না করবো আওয়ার শেরপুর এর গ্রুপ থাকলে নিয়মিত পোস্ট করা যেতো। এছাড়াও চাল এবং মন্ডা নিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার এর মাধ্যমে এর গ্রাহকদের মধ্যে একটা আন্তরিকতার সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
আওয়ার শেরপুর এর ডেলিভারি প্রসেস আমার কাছে যথেষ্ট ভালো মনে হয়েছে। আমি ঢাকার বাইরে সুন্দরবন এর মাধ্যমে ডেলিভারি নিয়েছি, যা এ্যাপস এর মাধ্যমে খুব সুন্দরমত ট্র্যাক করতে পেরেছি যে পার্সেল কি অবস্থায় আছে। এছাড়াও আমি ঢাকার ভেতরেও চাল এবং মন্ডা ডেলিভারি নিয়েছি দুটো পৃথক ঠিকানায়, দুটোই সময়মত পেয়েছি।
আমি Md. Daloare Hossain ভাই এর কাছে এবং পেজ এ দুই জায়গায় ই অর্ডার করেছি। ভাইয়া তো সুন্দরমত অর্ডার অনুযায়ী পণ্য পাঠিয়ে দেয় ই, তবে পেজ যারা হ্যান্ডেল করে তারাও যথেষ্ট যত্নশীল। কারণ প্রতিবার পার্সেল পাঠানোর আগে আমি ঠিকানা কনফার্ম এর জন্য ফোন পেয়েছি এবং নিজ থেকে নক দিলেও পেজ এর রেস্পন্স ভালো।
প্রোডাক্ট কোয়ালিটি অবশ্যই ভালো। চাল তো আমার নিয়মিত খাওয়া হচ্ছেই, মন্ডাও এখন মিষ্টি জাতীয় পছন্দের খাবারের তালিকায় যুক্ত হয়েছে।
আওয়ার শেরপুর এর রিপিট কাস্টমার হওয়ার প্রধান কারণ আমার পণ্য খুবই পছন্দ হয়েছে। চাল তো আমার বাচ্চার গ্যাসট্রিক এর সমস্যার সমাধান (তুলশীমালা চালের খাবারে গ্যাস্ট্রিক তৈরি/বাড়ে না) দিয়েছে। এছাড়াও আওয়ার শেরপুর এর সার্ভিস আমার পছন্দ তাই বার বার কেনাকাটা করা হয়।
চাল টা সারাদেশে সহজ ডেলিভারি করা হলেও মন্ডার স্বাদ পুরো বাংলাদেশ থেকে পাওয়া একটু কষ্টকর। যেহেতু দুগ্ধজাত, ডেলিভারিতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছেই। তবে এলাকাভিত্তিক বা জেলাভিত্তিক একটি নির্দিষ্ট দিনে যদি উক্ত এলাকা/জেলার জন্য মন্ডা ডেলিভারি করা যায় আমার মনে হয় তা ব্যাবসা সম্প্রসারণে সহায়তা করবে।
যদিও আমি বর্তমানে বিজনেস করছি না, তবে আমার স্বপ্ন আছে স্টিচ এবং সেমিস্টিচ পোশাক নিয়ে কিছু করার। আমাদের দেশীয় তৈরি পোশাক কোনো অংশে কম নয়। গার্মেন্টস শিল্পে আমাদের দেশ সারা বিশ্বে জনপ্রিয়, আমাদের বুটিকস এর ড্রেস একসময় এমন জনপ্রিয়তা পাবে সেই প্রত্যাশা করি।
তুলশীমালা চাল প্রথম যেই বার অর্ডার করি তখন রোজা ছিলো। চাল পৌঁছায় বেলা ১২ টায়। আমি এবং আমার হাসবেন্ড যেহেতু রোজা তাই বাবুর জন্যে আধ পট পরিমাণ ভাত রান্না করে খাসির মাংস দিয়ে দুপুরে খাইয়েছিলাম। ছেলের তৃপ্তি করে খাওয়া দেখে আর রান্নার সময় হাল্কা সুন্দর একটা ঘ্রাণে আমার আর তর সইছিলো না টেস্ট করতে!!
তো আমি সেদিন ই ইফতারে অল্প করে পোলাও রান্না করে ফেলি তুলশীমালা চাল দিয়ে। টেস্ট করার উদ্দেশ্যে অল্পই রান্না করেছিলাম। কিন্তু সেদিন এরপর কয়েকদিন পর্যন্ত ইফতারে এবং সেহেরিতে টানা আমার তুলশীমালা চালের পোলাও বিরিয়ানি খিচুড়ি করতে হয়েছে। সেবার সর্বোচ্চ পরিমান রিচফুড খেয়েছি সেহেরিতে। এটা আমার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মজার বিষয় কেউ শুনলেই অবাক হোতো যে সেহেরিতে বিরিয়ানি!! সারাদিন গ্যাস এর জন্য কষ্ট হবে বা গলা শুকাবে বেশী বেশী, রোজা রাখতে কষ্ট হবে। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি বা আম্র হাসবেন্ড কেউ ই এমন সমস্যা ফেস করিনি।
সকল কাস্টমার সাক্ষাৎকার এখানে।