খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর
শেরপুরে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য প্রতিনিয়ত প্রস্তুত খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর। শেরপুর শহরের চারটি থানার মিলন মেলা হলো এ চত্বরটি। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকেই পর্যটকরা আসুক না কেন শাপলা চত্বর তাদের কে স্বাগতম জানাবেই এটাই হলো তার ধর্ম। খোয়ারপাড় থেকে নালিতাবাড়ি, ঝিনাইগাতি, শ্রীবরদী, বকশীগঞ্জ যাওয়ার মূল পটকে গড়ে তোলা হয়েছে শাপলা চত্বরটি। এ জায়গাটা হলো শেরপুরের মিলন মেলা।
তৎকালীন পৌরসভা মেয়র জনাব হুমায়ুন কবির রুমান মহোদয়ের উদ্যোগে শাপলা চত্বরের ভাস্কর্য টি নির্মাণ করা হয়। উদ্ভোদন করা হয় ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রোজ মঙ্গলবার। শাপলা চত্বর টি নির্মাণ করা হয় শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় মোড়ে জাতীয় ফুল শাপলার প্রতিক হিসেবে।
শাপলা চত্বর টিকে সাজানো হয় অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে। ১০ টি রঙ্গিন লাইট ১৯ টি শাপলার ডানা সাদা এবং সবুজ কালারের, উপরে হলুদ বর্ণের একটি ফুল এবং ৪৭ টি ঝরনা। শাপলা চত্বরটি বিকেলবেলা করে তার রূপের সৌন্দর্য প্রকাশ করে দর্শনার্থীদের জন্য। আর দর্শকরাও মেতে উঠে সেলফির জোয়ারে। উত্তরাঞ্চলে পর্যটন মধুটিলা ইকোপার্ক, গজনী অবকাশ, পানিহাটি দিঘী ইত্যাদি দেখে আশার পর এ যেন বিশেষ আপ্যায়ন দর্শনার্থীদের জন্য রেখেছেন জনাব হুমায়ুন কবির রুমান মহোদয়।
প্রতিটা জিনিসের একটা যৌবন মুহূর্ত থাকে আর সেই সময় সে সাজে রঙিন সাজে। ঠিক শাপলা চত্বর যেন তার যৌবন মুহূর্ত টা প্রকাশ না করে রাতে ঘুমাতে পারে না তাই সে প্রতিদিন বিকাল থেকে রাতের প্রথম অংশ পর্যন্ত সাজে দর্শনার্থীদের জন্য।
শেরপুরের যে কোন স্থানের জন্য সফরে আসলে চত্বর আপনাকে ওয়েলকাম জানাবেই। আর যারা শহর থেকে আসতে চান তারা শহর থেকে মাত্র ৫/- ভাড়া দিয়ে আসতে পারে এ চত্বরে।
চমৎকার বর্ণনা