সুমাইয়া আহমেদ : ’Md. Daloare Hossain ভাইয়ের শেরপুর এর তুলশীমালা চাল সেই কবে নিয়েছিলাম। চালের পরিমাণ বেশি ছিলো। তাই এখনও খাচ্ছি। আমার উদ্যোগের খাবার যেই অফিসে যায় সেখানে একদিন খিচুড়ি রান্না করে দিয়েছি। আর অল্প কতটুকু ছিলো। তা দিয়ে আজকের পরিবেশনা। এখন কথা হল, কেনো এই রিভিউ? চাল তো চালের মতই হবে। টেস্ট ও সেইম। কথাটা আমারও মনে হয়েছে। কিন্তু যারা গ্রাম থেকে চাল নিয়ে এসে খায়, তারা কেনো খায়?? শুধু আবেগ থেকে এই কষ্ট করে নাকি খাটির খোঁজে খায়? আমরাও বাসায় বাড়ি থেকে চাল করে নিয়ে আসি। যখন কেউ শুনে চালটা আমাদের নিজেদের জমির ধানের। তখন টেস্ট দ্বিগুণ বেড়ে যায় যেনো। খুব রুচি নিয়ে সবাই খায়। এটা সত্যি কথা।
দেলোয়ার ভাইয়ের তুলশীমালা চাল এখন নিজেই একটা ব্র্যান্ড। তারপরও আমি যখন অর্ডার করেছি, ভাইয়া বলেছিলেন যে “আপু চাল কিন্তু নতুন উঠেনি এখনও, এটা পুরনো। তাই গন্ধ সেরকম পাবেন না।” আমি তারপরেও নিয়েছিলাম। পোলাও চালের মত কিন্তু আরো একটু গোল গোল চাল তুলশীমালা। সিদ্ধ ও হয়ে যায় খুব তাড়াতাড়ি। ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, ফিরনী, জাউ সবই টেস্ট করা হয়ে গিয়েছে। আর্টিফিসিয়াল যে সব চাল শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যের কারণে মেশিনে কেটে লম্বা আর সুন্দর করা হয় সেগুলো। হয়তো দেখতে ভালো তাই খেতে পছন্দ করি আমরা। কিন্তু শেরপুরের তুলশীমালা চাল স্বাদ আর গন্ধে অতুলনীয় আমার কাছে। এবং পুষ্টিগুণও অক্ষত থাকে বলে আমার ধারণা। চাতালের চাল কেটে চিকন আর সাদা করার কারণে পুষ্টি বেশিরভাগই চলে যায় কাটা অংশের সাথে। দেখতে দর্শনধারী হলেই সবসময় গুণবিচারি হয় না। দেলোয়ার ভাইয়ের মন্ডাও খেয়েছি বাসায়, আমরা সবাই। খুব ভালো টেস্ট মন্ডার।’
সূত্র : ফেসবুক।