ইফ্ফাত শারমিন : ’তুলশীমালা চালের জন্য Md. Daloare Hossain ভাই এবং তার উদ্যোগ Our Sherpur কে উই গ্রুপে আমরা কম-বেশি সবাই চিনি। প্রথম এই তুলশীমালা নামটাই আমার মনোযোগ আকর্ষন করেছিলো। সেই থেকে শুরু, বর্তমানে আমি এই চালের নিয়মিত ক্রেতা।
দেলোয়ার ভাই এর আরও একটি পণ্য শেরপুর এর মন্ডা। নাম শুনেই খেতে ইচ্ছা করেছিলো। খুব ছোটবেলায় ময়মনসিংহ তে আব্বুর কাপড়ের দোকান ছিলো। তখন নাকি প্রায়ই মুক্তাগাছার মন্ডা এনে খাওয়াতেন। মন্ডা নামটাই শুধু মাথায় ছিলো, টেস্ট মনে ছিলো না। তাই মন্ডা কেমন টেস্ট হয় জানার আগ্রহ থেকেই প্রথমবার নিয়ে নেই ভাই এর কাছ থেকে। বক্স খুলে দেখি, ওমা এ তো অনুরাধা!!! মানে মন্ডার প্যাকেজিং এ লেখা এই সুন্দর নামটা। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে মন্ডার প্যাকেজিং। আলাদা আলাদা কাগজে মুড়ানো একে একটি অনুরাধা।
এবার টেস্ট করার পালা। একটা খেয়ে মনে হোলো আরেকটা খেয়ে নেই, এত্তো মজা। আলহামদুলিল্লাহ!! মন্ডা বেশি ড্রাই না, আবার একদম ছানার মত নরম ও না। মিষ্টি খুব বেশি না আবার কম ও না, একদম পরিমান মত। আর এলাচের খুবই হাল্কা একটা ঘ্রান লাগে নাকে, সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা জিনিস। অনেকের ছানা জাতীয় বা খুব ঘন দুধের কিছু খেলে গ্যাস হয়। আমার মনে হয় এই এলাচের যে হাল্কা ফ্লেভারটা পাই মন্ডা খাওয়ার সময়, তা গ্যাস হতে দেবে না কাউকে। কারণ, এলাচ হজমে সহায়ক।
মন্ডা আমি, বাবু এবং তার বাবা তিনজনেই খুব মজা করে খেয়েছি। আলাদা সুন্দরভাবে কাগজে মোড়ানো, easy to carry বলে বাবুর আব্বু কয়েকদিন অফিসে নিয়ে গিয়েছে লাঞ্চের পর খাবে বলে।
কিছুদিন আগে প্রোফাইলে একটা মন্ডার কাগজে মোড়ানো অবস্থায় ছবি দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “অনুরাধা তুমি কার?” সেই পোস্টের পর কত মানুষ যে আমাকে নক দিয়েছে, এটা কি জানতে তার হিসেব নেই। সেই অনুরাধা দ্বিতীয় বারের মত আমার বাসায় এসেছে, এবার গিফট হয়ে। গিফট আমি পেয়েছি Our Sherpur এর পাঁচ বারের রিপিট কাস্টমার হিসেবে। এবার আমি ঢাকা, আম্মুর বাসায়। আম্মু-আব্বু মন্ডা টেস্ট করে তো খুব অবাক বলে সেই শেরপুর থেকে জার্নি করে এসেও মন্ডা এত ফ্রেশ আর এত মজা!! ছোট বোন বলে, “আপু এটা তো মুখে দিলেই মিলায় যায়, আর মুখে টেস্ট টা লেগে থাকে!!”
আপনার অনুরাধার মন্ডা পুরাই হিট দেলোয়ার ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত ভালো একটা জিনিস দেওয়ার জন্য।’
পোস্ট সূত্র : ফেসবুক।