পণ্য সোর্সিং এ জেলা ওয়েবসাইট
ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো প্রোডাক্ট সোর্সিং। সোর্সিং করতে ব্যর্থ হলে সাফল্যরে মুখ দেখে না অনেক উদ্যোগক্তা। সোর্সিং ভালো না হলে কাস্টমারকে মনের মতো প্রোডাক্ট না দিতে পারার অশান্তিতে ভোগতে হয়। এ সমস্যা গুলোর সমাধান দিতে পারে জেলা ওয়েবসাইট।
যারা ঢাকার বাহির থেকে ই-কমার্স বিজনেস করে তাদের ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট সোর্সিং সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ঢাকায় গিয়ে প্রোডাক্ট সোর্সিং করা কষ্টসাধ্য। আবার অল্প অল্প করে প্রোডক্ট কেনারও সুযোগ থাকেনা। তাই প্রয়োজন অধিক মূলধন। নবীন ও ছোট উদ্যোক্তাদের পর্যাপ্ত মূলধনের অভাব রয়েছে তাই চাইলেও রাজধানী থেকে বাল্ক/অধিক পণ্য কেনার সুযোগ নাই। এতে বেড়ে যায় বার বার ঢাকায় আসার ভোগান্তি ও খরচ এবং কমে যায় প্রফিট।
বাংলাদেশে প্রায় ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মাত্র ২ কোটি আর বাকি ১৪ কোটি মানুষের বসবাস রাজধানীর বাহিরে। তাই স্থানীয় প্রায় সকল পণ্যের সোর্সিং ঢাকার বাহিরে। যেমন : শেরপুর তুলশীমালা চাল, জামালপুরে নকশী, নারায়ণগঞ্জে জামদানি, সিলেটে মনিপুরি, রাজশাহীতে সিল্ক, টাঙ্গাইলে খেশ, চাপাইনবাঞ্জে আম-লিচু, যশোরে খেজুর গুড়, রংপুরে শতরঞ্জি, নোয়াখালীতে সয়াবিন ইত্যাদি। এতো কিছুর পরও আমরা প্রোডাক্ট সোর্সিং এর জন্য ঢাকা ও ভোগান্তি কে বেছে নেই।
স্থানীয় পণ্য গুলো সোর্সিং করার জন্য জেলা পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে রয়েছে বেশি সুযোগ। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়- আপনি মনিপুরী পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এবং তা সোর্সিং করার জন্য ঢাকা কোন এক মার্কেটে চলে গেলেন সেখানে প্রায় সেইম ডিজাইন ও কোয়ালিটির পণ্য পাবেন। আপনি সিলেট অঞ্চলের উদ্যোক্তা হওয়ায় আপনি জানেন কোন কোন এলাকায় তাতিরা কাজ করে। কোন এলাকার তাতিরা কনো ডিজাইন গুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কেন দেয়, প্রাইজ আলাদা হওয়ার কারণ, পণ্যের কোয়ালিটি, কাস্টমাইজ ডিজাইন সহ আপনি জানতে ও করাতে পারবেন তাাতদিরে দিয়ে। আর ঢাকার বণিক বা সওদাগরদের কাছে তা পাবেন না।
জেলার পণ্য গুলো নিয়ে উদ্যোক্তারা কাজ করার ফলে চাহিদা ও ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে, এর ফলে স্বালম্বী হবে খাত সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এবং যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে দেশিও পণ্য গুলো। সমৃদ্ধ হবে অর্থনীতি, কমে আসবে বেকারত্ব।