ইফাত জাহান মিলা : ‘আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। তাই বাবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকেছেন। আমার থাকা হয়নি। কেননা বাবা তখন ঢাকায় বদলি হয়ে গেছেন। কিন্তু মার কাছে সবসময়ই শুনতাম, এই জায়গার এইটা ভালো, ঐ জায়গার ঐটা ভালো। আব্বা যখন ট্যুরে যেতেন তখন সেই জায়গার ভালো জিনিস, মজার জিনিস নিয়ে আসতেন।
তাই শেরপুরের মন্ডা আমি খেয়েছি। যদিও অনেক ছোট বেলায়। কিন্তু সাধ ভুলিনি। ভাইরাও কোথাও গেলে স্পেশাল জিনিস গুলো নিয়ে আসে।
ইদানীং করোনার জন্য শুক্রবার গুলো তার আনন্দ হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু আজকে আমার শুক্রবার টা স্পেশাল করে দিলো আমাদের সবার প্রিয় ভাই দেলোয়ার ভাই Md. Daloare Hossain। কালকে ভাইয়া যখন পোস্ট দিল আমি তাড়াতাড়ি অর্ডার করলাম। ভাইয়া বললেন যে কাল শুধু এই সব এরিয়া তে ডেলিভারি দিবেন। আমি তো শুনেই লাফ। কারণ আমি ঐ এরিয়াতে থাকি। আমি খুবই লাকি যে ভাইয়ার প্রথম ডেলিভারিটা আমি পেয়েছি।
যা এতো কথা বললাম, মিষ্টি কেমন তা বললাম না!!!
কিভাবে বলব!!! আমিতো হারিয়ে গিয়েছি সেই ছোটবেলায়।
ভাইয়া কি যে মজা আপনার মন্ডা!!!
মনে হচ্ছে খেতেই থাকি, খেতেই থাকি। ইনফেক্ট খেতেই আছি। রিভিউ লেখা শেষ করে আবার খাবো।
ভাই রে ভাই এতো ডাইটিং করে কি হবে!!!
ভাইয়া নিজে আসছিলো ডেলিভারি দিতে এটাও অনেক বড় পাওয়া। ভাইয়ার কাছ থেকে আমি অনেক হেল্প পেয়েছি। আমি একটা ভুলে ভুল করে ফেলেছিলাম, ভাইয়া আমাকে নিজে থেকে মেসেজ দিয়ে বলেছেন, এই রকম করা ঠিক না। কিন্তু ভাইয়ার সাথে কোনদিন কথা হয়নি।আজই কথা হলো।
ভাইয়া আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো। আশা করি, তুলশীমালা চালের মতো এই মন্ডাও সবার মন জয় করবে। করতেই হবে।’
সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)।