তীর্থ খায়ের সিঁথি : ’অপরাহ্নের শুভেচ্ছা সবাইকে। ৪ লক্ষ ১৪ হাজার মেম্বার এর গ্রুপে প্রতিদিন যদি এক্টিভ না থাকা হয় এক মাস পিছিয়ে যাওয়া হয়। তাই আমি চলে এলাম। আজ আসলাম একটু পুষ্টিবিদ হয়ে। আমার ছয় বছর বয়সী কন্যা জলরং। তার স্বাস্থ্য দেখলেই বুঝা যায় খাওয়া দাওয়ার প্রতি খুব আগ্রহ নাই। কিন্তু সে আমার মতই বিরিয়ানি খোর। রিচ ফুড সে খুব ভালবাসে। কিন্তু এটা সে খেয়ে হজম করতে পারেনা। তার বমি হয়, পেট ব্যাথা করে অর্থাৎ গ্যাস হয়। কিন্তু তার খেতেও ইচ্ছে করে। কি করি তাহলে? দেলোয়ার ভাই এর তুলশীমালা চাল এর অনেক সুখ্যাতি শুনেই ফার্স্ট অর্ডার করা হয়েছিল। এরপর তো ইতিহাস। বিভিন্ন সবজি, চিকেন, চিংড়ি, ডিম দিয়ে আমি তুলশীমালার ফ্রায়েড রাইস করেছিলাম। এটা যত না রেস্টুরেন্টের ফ্রায়েড রাইস তার চেয়ে বেশি বাচ্চার জন্য পুষ্টির উৎস।
কন্যা ও কন্যার বাপ এত টাই দিওয়ানা যে আমাকে প্রায় ই তারা এটা রাধতে আব্দার করেন।
বাচ্চার বাবা প্রতি শুক্রবার রোযা রাখেন তাই তার ইফতারিতে প্রায় ই তুলশীমালার ফ্রায়েড রায়েস খেতে চান। কেন? জানেন কি? কারন সারাদিন রোযা রেখে এটা খেলে যেমন রিচ ফুডের এক টা আস্বাদন গ্রহন করা হয় কিন্তু অস্বস্তি লাগেন একটুও। গ্যাস হয়না মেয়েরো। কাল সন্ধ্যা থেকে মেয়ে আজকে সকালের নাস্তা পর্যন্ত এই খাবার টাই খেল। এখনো কোন সমস্যা হয়নাই। অর্থাৎ নো গ্যাস, নো প্যানিক। বাচ্চার বাবা তো কাল বলেই ফেলল এখন শুধ তোমার একটা রেস্টুরেন্ট দেয়াই বাকি। এত স্বাদের খানা রাধছ আস একটা রেস্টুরেন্ট দিয়েই ফেলি। আমি শকড, তুলশীমালা রকড।‘
সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম।