ফারজানা ইয়াসমিন : আমি তুলশীমালা চালের অপর নাম দিয়েছি অমৃত দানা বা যাদুকরী দানা। এর পিছনে একটি সত্য কাহিনী আছে। তো চলুন জেনে নেই কি সেই কাহিনী।
উই তে পুরাপুরি এক্টিভ হওয়ার আগেই তুলশীমালা চাউল কেনা ছিল দেলোয়ার ভাইয়ের কাছ থেকে। এই চাউল দিয়ে কিছু করাও হয়নি আর কাষ্টমার রিভিউও দেয়া হয়নি কারণ আমার ঘরে আগের অনেক পোলাও এর চাউল ছিল।
গতকাল সবাই বাসায় থাকার কারনে ঠিক করলাম দুপুরে তুলশীমালা চালের খিচুরী আর দেশী মুরগী রান্না করব। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে আমার জামাই এসে আমাকে বলল মেয়ের জ্বর আসছে এবং মেপে দেখলাম ১০২ ডি: এর বেশী। ভয়ে শরীর হিম হয়ে গেল। বর বলল ভয় পেয়ো না, আল্লাহ্ এর উপর ভরসা রাখ। আমি ঔষধ রেডী করছি, মেয়েকে কিছু খাওয়ানোর ব্যবস্থা কর।
মেয়ে কিছুই খাবে না। একটু বিস্কিট খাওয়ায় দিয়ে ওষুধ দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষন পর জ্বর কমে গেল। ভয় কিছুটা কাটল। গেলাম রান্না করতে। খিচুরী এবং মুরগীর মাংস রান্না করলাম।
দুপুরে সবাইকে নিয়ে খেতে বসলাম। কিন্তু মেয়ে কিছুই খাবে না। অনেক জোর করেও কিছু খাওয়াতে পারিনি। আমার বর বলল আমরা খেয়ে নেই তারপর আমি মেয়েকে খাওয়ায় দিব। আমরা খাচ্ছিলাম । মেয়েটা ডাইনিংয়ে তার বাবার কাছে আসল। তার বাবা বলল মা অনেক মজার খিচুরী একটু খেয়ে দেখ। মেয়ে খেতে চাইল না। মেয়ে বলল বাবা কিসের এত সুন্দর ঘ্রান আসছে ? তার বাবা বলল এটা তুলশীমালা চালের খিচুরী থেকে আসছে মা। মেয়ে তখন বাবার কাছ থেকে একটু খেতে চাইল। তার বাবা যখন তাকে খাওয়ায় দিল তখন সে আরো খেতে চাইল এবং বাবা তাকে পুরো এক প্লেট খাওয়ায় দিল। আমার মনে হল এটাই ছিল তুলশীমালা চাউলের যাদুকরী ক্ষমতা। ছোট ছেলেটা সহ সবাই খেলাম বেশ।
আজকে সকাল থেকেও মেয়েটা কিছু খাচ্ছে না। বললাম কি খাবে? অনেক কিছু অফার করলাম কিন্তু কিছুই খেতে রাজী হলনা। শুধু বলল তুলশীমালা চাল দিয়ে পায়েশ রান্না করে দিতে। এখন পর্যন্ত আমার ছেলেমেয়ে এই পায়েশের উপর ই আছে। বাসা টা পুরা তুলশীমালাময় হয়ে আছে।
ধন্যবাদ দেলোয়ার ভাইকে আমাদের এতো সুন্দর একটা চাউলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। আমি মন থেকে আপনার তথা “আমাদের শেরপুর” এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। খুব শীঘ্রই রিপিট কাষ্টমার হচ্ছি ইনশাআল্লাহ ।
আমাদের জীবন এখন উইময়????