Our Sherpur

তুলশীমালার ভাত ।। ফাতেমা-তুজ-জহুরা রজনী

তুলশীমালার ভাত

’তুলশীমালা চালের ভাতের রিভিউ উউ গ্রুপে লিখছেন ফাতেমা-তুজ-জহুরা রজনী

আচ্ছালামু আলাইকুম উইবাসী। আমি এই শীতে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। সাথে আছে মুড সুইং। মনোবিজ্ঞানী বান্ধবী বলে সারাদিন ফোন নিয়ে পড়ে না থেকে কোথাও গিয়ে একটা এক সপ্তাহের ছুটি কাটিয়ে আসতে, ও হ্যা তাহলে আমার উই এর কি হবে??? না মানে উই এর কিছু হবে না কিন্তু আমারই তো দম বন্ধ হয়ে যাবে। গত তিনটা মাস কখনো উই ছাড়া একটা মিনিট ও থাকিনি। এমনকি ওয়াশরুমেও ফোনটা হাতে নিয়েই ঢুকে পড়েছি? আর রান্না কত পুড়েছে তার তো ঠিকই নেই। তাই কোথাও গেলেও শান্তি পাব না। এখন আসি আসল কথায় আমি গত ইভেন্ট থেকে Md Daloare Hossain ভাইয়ের তুলশীমালা কিনেছিলাম। আমার এই চাল টার সাইজটা পছন্দ ছিল না। আমার লম্বা চাল পছন্দ। আমি বাসমতী চাল দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করি কারণ দেখতে সুন্দর লাগে বলে। আমার সংসারে একমাত্র ইন্ডিয়ান পণ্য হচ্ছে “দাওয়াত” বাসমতী চাল আর একমাত্র পাকিস্তানি পণ্য হচ্ছে “শান” বিরিয়ানির মসলা।

এই দুটো পণ্য কেনার সময় আমার খুবই কষ্ট হতো এবং তারপর ও আমি কিনতাম। দেলোয়ার ভাইয়ের তুলশীমালা আনার পরে গতকাল দুপুরে হটাৎ করে পিঠা শপের আনিস ভাই কল দিলেন যে উনি আসবেন ওনার মেয়ের ব্যাগ নিতে। তখন ই আমি ভাবলাম যে তুলশীমালাটা কাজে লাগায়। সাথে সাথে আমি তুলশীমালা রান্না করে ফেললাম। এরপর ভাইয়া এলে একসাথে খেলাম। খেতে গিয়ে জীবনে প্রতমবারের মতন আমি বুঝলাম যে ভাতেরও স্বাদ হয়!!!! আমার কাছে সব ভাতই শুধু মাত্র ভাত। কিন্তু অনেকেই বলেন এই চালের ভাতটা পানসে, এটা মিস্টি কিন্তু ভাতের ব্যাপারে আমি এমন কোন টেস্টই বুঝতাম না। এই তুলশীমালা খেতে গিয়ে আমার বাবার এক সহকর্মীর কথা মনে পড়ে গেল। ঘটনাটা আজ থেকে ১৫ বছর আগের। আমাদের বাড়িতে মিনিকেট চাল খাওয়া হতো যেটার দাম ঐসময় হয়ত ২৫/৩০ টাকা ছিল। আর আমরা প্রচুর তরকারী খেতাম। আমরা থাকতাম অফিসের কোয়ার্টার এ। যারা অফিস থেকে দূরে থাকতেন তারা মাঝে মাঝেই দুপুরে আমাদের বাসায় অথিতি হতেন। তো এমনই একদিন উনি আমাদের বাসায় এসে বললেন এত তরকারী কেন???? আপনারা ভাত কম খান আর তরকারি বেশি খান??? আমি তো ভাই উল্টা আমি দামী চালের ভাত খাই আর কম তরকারি খাই। দামী চালের ভাত এতই মজা যে এমনিও খাওয়া যায়। উনি নাকি সেসময় ই ৫০-৭০ টাকা কেজি চাল খেতেন। সেই ১৫ বছর আগে তিনি কি চালের নাম বলেছিলেন সেটা আর এখন মনে নেই। কিন্তু তুলশীমালা খেয়ে আমার উনার কথা মনে পড়ে গেছে কারণ তুলশীমালা এতই মিস্টি যে আমার মনে হয়েছে এটা এমনিতেই খাওয়া যায়। আমার মেয়ে ও মজা করে খেয়েছে। আরও কিছু লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু হাতের পেশী যুদ্ধ করতে শুরু করেছে আর পোস্ট টাও অনেক লম্বা হয়ে যাবে তাই আর কিছু লিখছি না।
বিঃ দ্রঃ তুলশীমালা পেয়ে আমার বাসমতী বন্ধ হয়ে গেল কিন্তু শানের কি হবে??? হোম মেড ফুডের আপুরা একটু এমন করে বিরিয়ানির মসলা বানানোর চেস্টা করুন প্লিজ।’

Leave a Reply

Scroll to Top