Our Sherpur

শেরপুরের নালিতাবাড়ির সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের নাম

শেরপুরের সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা নালিতাবাড়ির সাহিত্য ইতিহাস খুঁজতে গেলে খুব বেশি দুর অতীতে যাওয়া যায় না। অথবা অতীত কালের সাহিত্য নিদর্শন সংগ্রহের অপ্রতুলতায় ধারণা করা হয় এর অধিকাংশই হয়ত হারিয়ে গেছে কালের অতল গর্ভে। প্রাচীন লোক সংস্কৃতির যে টুকু নিদর্শন পাওয়া যায়, তাতে মনে হয়, এ অঞ্চলে লোকধারার সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিল। জনপদ গড়ে উঠার দিক থেকে নালিতাবাড়িকে প্রাচীন কোন জনপদ বলা যায় না।
স্বাধীনতা পরবর্তি এবং বর্তমানে যে কয়েকজন সাহিত্যিকগণ সংস্কৃতি এবং সাহিত্য চর্চায় অবদান রেখে যাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেনঃ

১। নগেন্দ্র চন্দ্র পাল,
রচিত গ্রন্থঃ নালিতাবাড়ির মাটি মানুষ এবং আমি ও মধুটিলা ইকোপার্ক।

২। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান তালুকদার,
রচিত গ্রন্থঃ মুক্তিযুদ্ধে শেরপুর, মুক্তিযুদ্ধে নালিতাবাড়ি, জল্লাদের দরবার, আর একটা যুদ্ধ চাই, ইত্যাদি।

৩। শহীদ নাজমুল আহসান,
রচিত গ্রন্থঃ শেষ নির্দেশ।

৪। আব্দুর রশীদ,
রচিত গ্রন্থঃ মেয়ের বাবা, জীবনটাই তো অভিনয়, জোড়াতালি।

৫। আলহাজ্ব আব্দুর রহমান,
রচিত গ্রন্থঃ রুপসী নদীর তীরে, তের বছর পরে।

৬। ডাঃ সুলতানা জামান,
রচিত গ্রন্থঃ আপনার শিশু, স্মৃতির পাতা থেকে, অন্যান্য, ভালবাসার নকসী কাঁথা, নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়, শুধু তোমার ও মুখর হলো দিনগুলো।

৭। সাগর আহমেদ,
রচিত গ্রন্থঃ সিন্ধুর পদ্য, গোপন নায়ক, মনুষ্যত্ব, প্রতিবাদ, দৈনন্দিন জীবন দর্শন, এসো আল্লাহর গান গাই ইত্যাদি।

৮। আব্দুর রেজ্জাক,
রচিত গ্রন্থঃ এসো জোট বাঁধি।

৯। বিরুপাক্ষ পাল,
রচিত গ্রন্থঃ বিশ্ব বিতর্কের গর্বাচব ও সোভিয়েত।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, লেখক অধ্যাপক মোস্তফা কামাল, গীতিকার মোস্কাক হাবীব, অধ্যাপক খালেদা রায়হান রুবি, অ্যাডভোকেট আব্দুল মোতালেব, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, রাধাবিনোদ দে, যোগেন রায়, জোবায়দা খাতুন, মঞ্জুয়ারা বেগম, মনিরুজ্জামান, গীতিকার আজিজুর রহমান সরকার, কোহিনুর রুমা, আলহাজ্ব এম এ হাকাম হীরা প্রমুখ।

তথ্যসুত্রঃ আমরা তোমরাই সন্তান (২০১৫)
তথ্য সংগ্রহেঃ সাগর আহমেদ

Leave a Reply

Scroll to Top