শেরপুরে বন্যাদুর্গত প্রায় ১ হাজার ৫০০ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে তাদের মাঝে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর ) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঝিনাইগাতী ফাকঁরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সামাজিক বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন EDOK এর পরিচালনায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
উক্ত মেডিকেল ক্যাম্প রোগী দেখেন-ডা: সারোয়ার জাহান রুবেল (BMDC Reg. No. A-79925) ও ডেন্টিস্ট মোঃ নুরে আজিম তালুকদার (বি.এসসি ডেন্টাল ঢা:বি:)।
জানা গেছে, শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের যুবকদের দ্বারা পরিচালিত সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন Educational Development Organisation of Kakilakura (EDOK) উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত স্থানীয় বানভাসি ১৫০০ মানুষ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নেয়। এ সময় প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ প্রত্যেক রোগীকে বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এ ক্যাম্পে ২ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক সেবা প্রদান করেন এবং তাদের সহযোগী হিসাবে ছিলেন L.M.A.F ও ফার্মাসিষ্ট মোঃ জাহিদ হাসান, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম রানা ও মোঃ মাহমুদুল হাসান রুবেল।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক EDOK এর একজন সদস্য বলেন, ”আকস্মিক বন্যায় জেলা শেরপুরের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। গত ৩৫ বছরের মধ্যে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কবলে পড়েনি জেলার বাসিন্দারা। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ। বন্যার পানিতে অন্তত ২০ হাজার হেক্টর আমন আবাদ এবং দেড় হাজার হেক্টর সবজির আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পানি কমতে শুরু করার সাথে সাথে বন্যার পানিতে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। বন্যা-পরবর্তী সময়ে পানিবাহিত রোগ ও চর্ম রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুর্গতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। EDOK তার সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছে বন্যার্তদের পাশে দাড়ানো।”
মেডিকেল ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন EDOK এর সাবেক ও বর্তমান দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ এবং বেশ কয়েকজন সদস্য।