১১ নং সেক্টরের জন্য কামালপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিলো। কামালপুরের ছিল পাকবাহিনীর ঘাঁটি। কামালপুর থেকে যেন জামালপুর শত্রু বাহিনী না আসতে পারে তাই মুক্তিবাহিনী কমান্ডারের নির্দেশ মাঝপথের একটি ব্রীজ ভেঙ্গে ফেলে এবং বকশীগঞ্জ-শ্রীবর্দী রাস্তায় মাইন পুঁতে অবস্থান নেন। এছাড়াও টিকরকান্দি আরও ৬ টি মাইন পুঁতে রাখে মুক্তিবাহীনি। ব্রীজ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে জামালপুর থেকে পাকিস্তানি মেজর আইয়ুব দুটি সামরিক গাড়ি নিয়ে পরিদর্শনে আসেন এবং সেখান থেকে টিকরকান্দি পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধাদের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণ ঘটে মেজর আইয়ুবসহ প্রথম গাড়িটি উড়ে যায়। ২য় গাড়িটি থমকে দাঁড়ালে সাথে সাথে পজিশনে থাকা মুক্তিযোদ্ধাগণ এলএমজি, এসএমজির ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে। সেদিন মুক্তিযোদ্ধাগণ শ্রীবর্দীর পথে রওয়ানা করে এবং কভারিং বাহিনীসহ বিজয় উল্লাসে শ্রীবর্দী মুক্ত ঘোষণা করে।
তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।