শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলের নাম কর্ণঝোড়া। পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা ছিল। তখনকার সময়ে তেমন উন্নত ছিল না এই অঞ্চলের। মহান মুক্তিযুদ্ধে বহু তরুণ মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আবার অনেকেই পাকিস্তানি প্রেমে মগ্ন হয়ে রাজাকার এবং আলবদরে যোগ দেয়। পাকিস্তান বাহিনীর অবস্থান ছিল ভায়াডাঙ্গা, শ্রীবর্দী এবং কামালপুর। রাজাকার এবং আলবদর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘরে লুটপাট করে গরু-ছাগল নিয়ে যেত। একদিন রাজাকারগণ কর্ণঝোড়া প্রবেশ করে। প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে রাজাকারদের গুলি শেষ হয়ে গেলে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। কয়েকজন পালিয়ে গেলেও ১২ জন কে ধরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। প্রত্যেককে কর্ণঝোড়া বাজারের পাশে বটগাছের নিচে সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এটা ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিরাট সাফল্য, কারণ বাহিরের শত্রুর চেয়ে ঘরের শত্রুর আক্রমণ মারাত্মক।
তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।