১১ নং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল- কোদালকাঠি, চিলমারি, হালুয়াঘাট এবং কামালপুর থেকে শত্রু বিতারিত করা। কামালপুর হানাদার বাহিনী ২ টি কোম্পানি অবস্থান নেয় মুক্তিবাহিনীকে দমন করার জন্য। মুক্তিবাহিনীর ৩ টি কোম্পানি এবং মিত্রবাহিনীর ২ টি কোম্পানি সংঘর্ষের সিদ্ধান্ত নেয়। ক্যাপ্টেন মান্নান, লে. মিজান এবং এম. এফ. সাইদের পরিচালনায় মুক্তিবাহিনীর ৩ টি কোম্পানি ডিফেন্সে পৌঁছে যায়। সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহেরের সঙ্গে ৮ টি এসএলআর, ২ টি স্টেনগান এবং ১ টি ওয়্যারলেস সহ ১০ জনের টিম ছিল।
শেষ রাতের দিকে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং পাকিস্তানি একটি কোম্পানিকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেয়। সকালবেলা সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে একদল যোদ্ধা নয়াপাড়ার শেষ প্রান্তে পৌঁছেন। এমন সময় একটি শেল এসে কমান্ডেরের বাঁ পায়ে এসে পড়ে এবং চিৎকার করে মাটিতে পড়ে যান। এফ. এফ. মিজানুর রহমান তাঁকে ধরেন। সাথে সাথে ছুটে আসেন লে. মিজান, এফ. এফ. সাইদ। সেক্টর কমান্ডার আহতের সংবাদ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, মুক্তিবাহিনী ভেঙ্গে পড়ে। মেজর আবু তাহের জ্ঞান হারাননি, নির্দেশ করলেন সামনে ”এগিয়ে যেতে” কিন্তু সম্ভব হল না। মেজর আবু তাহের কে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তিবাহিনী ভেঙ্গে পড়লে পাকিস্তানিরা আক্রমন বৃদ্ধি করে দেয়, মুক্তিবাহিনী পেছনে সরে আসতে বাধ্য হয়। কামালপুর বিজয়ের পূর্ব মূহুর্তে এ দূর্ঘটনা ঘটে, ব্যর্থ হয় কামালপুর বিজয়।
তথ্য সূত্র- মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস।