Our Sherpur

মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর

মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টর

মাতৃভূমিকে শত্রু মুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের সমস্ত যুদ্ধাঞ্চলকে ১১ টি সেক্টর বিভক্ত করা হয়। শেরপুর ছিল ১১ নং সেক্টরের অধীনে। এই সেক্টর গঠিত হয় কিশোরগঞ্জ মহকুমা বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা এবং নগরবাড়ি-আরিচা থকে ফুলছড়ি-বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত যমুনা নদী ও তীর অঞ্চল নিয়ে।

Products list of Our Sherpur
শেরপুর জেলার যেসব পণ্য আওয়ার শেরপুর এ পাওয়া যায়।

মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টরের অধিনায়ক ছিলেন মেজর আবু তাহের (এপ্রিল থেকে নভেম্বর)। মহান মুক্তিযুদ্ধ কে আরও ফলপ্রসূ করতে এ অঞ্চলকে ৮টি সাব সেক্টরে ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

  1. মানকারচর – স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল্লাহ।
  2. মহেন্দ্রগঞ্জ – লেফটেন্যান্ট মিজান।
  3. পুরা খাসিয়া – লেফটেন্যান্ট হাশেম।
  4. ডালু – লেফটেন্যান্ট তাহের আহমদ ও লেফটেন্যান্ট কামাল।
  5. রংরা – মতিউর রহমান।
  6. শিববাড়ি – ই.পি.আর-এর কয়েকজন জুনিয়র অফিসার।
  7. বাগমারা – ই.পি.আর-এর কয়েকজন জুনিয়র অফিসার।
  8. মহেশখোলা/মহেশখালী – জনৈক ই.পি.আর সদস্য

১৫ নভেম্বর পাক বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে সেক্টর কমান্ডার মেজর আবু তাহের গুরুতর আহত হন। পরে স্কোয়াড্রন লিডার এম হামিদুল্লাহ খান (নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর) এ সেক্টরের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

এই সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ছিল প্রায় ২৫ হাজার। এই সেক্টরে নারীরাও মুক্তির সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন মাতৃভূমি থেকে শত্রু বিতারিত করতে। তিনি বীর প্রতীক খেতাব লাভ করেন। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধা ছিলেন শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, তিনিও এই সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর।

১১ নং সেক্টরের হেড কোয়াটার প্রথমে ছিল লেলডালা এবং পরে ১০ অক্টোবর ১৯৭১ সালে মহেন্দ্রগঞ্জ, আসাম, ভারত স্থানান্তর করা হয়।

স্বাধীনতা যুদ্ধ
স্বাধীনতা যুদ্ধ। ছবি: প্রথম আলো

তথ্য সূত্র:-

Leave a Reply

Scroll to Top