ভোগাই নদী
ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলার অন্যতম প্রধান একটি নদী হলো ভোগাই নদী। নদীটির ইংরেজি নাম Vogai River. বর্তমানে নদীটিকে সবাই ভোগাই নদী বলেই ডেকে থাকে। তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা পাউবো নদীটিকে ভোগাই-কংস হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, নদী-টির দৈর্ঘ্য ২৫ কিলোমিটার আর প্রস্থ ৫৭ মিটার। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ভোগাই-কংস নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৯৫ মিটার উল্লেখ করা হয়েছে। নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। পাউবো কতৃক ভোগাই নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদী নং ৬৪।
এটি বাংলাদেশ ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী হিসেবে পরিচিত। ভারতের শিলং মালভূমির পূর্বভাগে তুরার কাছে এই নদীটির উৎপত্তি হয়েছে। উৎপত্তিস্থল থেকে এঁকেবেঁকে কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশের শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা তারানি পাহাড় দিয়ে প্রবেশ করেছে।
নদীটি নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে, নয়াবিল ইউনিয়ন হয়ে, নালিতাবাড়ি উপজেলা শহরের উপর দিয়ে, মরিচপূরাণ ইউনিয়নে এসে, দু’ভাগ হয়ে গেছে। দক্ষিণের ভাগটির নাম ইছামতি আর উত্তরের প্রবাহের নাম “কংস” বলে ডাকা হয়।
এই নদীর উপর দুপারের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার্থে নাকুগাও, নালিতাবাড়িতে উল্লেখযোগ্য কিছু বড় বড় ব্রীজ তৈরি করা হয়েছে। বোরো মৌসুমে সেচের সুবিধার্থে অনেক জায়গায় রাবার ড্যাম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ভোগাই নদী আরো তিন নদীর প্রবাহ গ্রহণ করেছে। নদী তিনটি হলো- চেল্লাখালি, মালিশি, বলেশ্বরী নদী।
উভয় প্রবাহ ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলায় এসে আবার মিলিত হয়ে “কংস” নাম ধারণ করেছে। বর্তমানে ভোগাই নদীর মূল প্রবাহ ইছামতি নদীর গতিপথে প্রবাহিত হয়।
তথ্য সংগ্রহঃ সাগর আহমেদ।