নালিতাবাড়ী ইসলামিক মিশন
বর্তমানে বাংলাদেশের ৩২টি জেলায় ৪০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র রয়েছে। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ি উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা গ্রামে ১৯৮৮ সাল থেকে “নালিতাবাড়ী ইসলামিক মিশন” এর যাবতীয় লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়ে আসছে!
ইসলামের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১৬টি বিভাগের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা, ইসলামী প্রকাশনা, ইমাম প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি বিভাগের সহযোগিতায় সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ ও পরিচালনা করে আসছে।
বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষুধ প্রদান, মসজিদ ভিত্তিক মক্তবে শিক্ষা প্রদান, দুস্থ মানবতার সেবা, জাতীয় ও ধর্মীয় দিবস উদযাপন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ, সমাজে ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের নিকট ইসলামের শান্তির বাণী প্রচার সহ নানা সচেতনতা কাজ সফলভাবে পরিচালনায় করে আসছে সীমান্তবর্তীর নালিতাবাড়ি উপজেলার এই “ইসলামিক মিশন” কেন্দ্রটি।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ সহ, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উৎসাহিত করা হয়।
জেলা শহর শেরপুর থেকে উত্তর দিকে তিনানী-নন্নী-বারোমারী সড়ক পথে প্রায় ৪০ কিলোমিটার, অন্যদিকে উপজেলা নালিতাবাড়ি থেকে উত্তর দিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে পাহাড় বেষ্টিত “দাওধারা” গ্রামে অবস্থিত এই নালিতাবাড়ী ইসলামিক মিশন কেন্দ্রটি।
রাস্তার উত্তর পাশে অবস্থিত ইসলামিক মিশন ঘিরে রয়েছে সবুজ গাছপালায় ঢাকা পাহাড়ি বাগান, সামনে ঘাসে ঢাকা একটি খেলার মাঠ, বামপাশে সরকারি প্রাইমারী স্কুল আর ডানপাশে রয়েছে ইসলামিক মিশন জামে মসজিদ।
বর্তমানে এই ইসলামিক মিশনটি দূরের দর্শনার্থীদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে! তাই প্রতি বছর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই এখানে আসেন। তাছাড়া পর্যটন এলাকা মধুটিলা ইকোপার্ক ইসলামিক মিশন থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দুরে হওয়ায় অনেক দর্শনার্থী কিছু সময়ের জন্য হলেও মিশনটির পাহাড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে যান!
Table of Contents
তথ্য সংগ্রহঃ সাগর আহমেদ