জেলা ওয়েবসাইটের ক্যাম্পেইন
বর্তমান সময়ে ফেসবুকে আরিফা মডেল খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে দেশি পণ্যের ই-কমার্স উদ্যোক্তা, গ্রুপ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে। এছাড়াও ডিজিটাল স্কিলস বাংলাদেশ ও সার্চ ইংলিশ গ্রুপে প্রতিনিয়ত আলোচনা হচ্ছে আরিফা মডেল নিয়ে। এই জনপ্রিয় আরিফা মডেল জেলা ওয়েবসাইটে কিভাবে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করবো এই পোস্টে।
ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ স্যারের একটি আইডিয়া- আরিফা মডেল। প্রথম এই আইডিয়া তিনটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত।
১. কোয়ালিটি লেখাপড়া।
২. ইন্টারনেটে জেলা তথ্য সহজলভ্য করা।
৩. জেলা পর্যায়ে ই-কমার্সের প্রসার।
কোয়ালিটি লেখাপড়া : এটি শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা সহ সকলের জন্য সমানভাবে উপযোগী। এ অংশে সার্চ ইংলিশ গ্রুপের রিডিং সিলেবাস কে বেশি গ্রুত্ব দেওয়া হয়েছে। উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, গৃহিণী, প্রবাসী সহ যে কেউ রিডিং সিলেবাস অনুসরণ করে ইংরেজিতে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারে। ইংরেজি ছাড়াও রিডিং সিলেবাস অনুসরণ করে নিজের ভাষায় লেখার দক্ষতা অর্জন করা যায়। নিজ জেলা সহ বিভিন্ন জেলা সম্পর্কে সহজে জানা যায়। ইংরেজি পত্রিকা এবং বিদেশি ব্লগ দ্রুত পড়া ও বুঝা যায়।
ইন্টারনেটে জেলা তথ্য সহজলভ্য করা : আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিক হলেও সরকারি এবং নিউজ ওয়েবসাইটের কিছু তথ্য ছাড়া জেলা সম্পর্কে ইন্টারনেটে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। প্রযুক্তির এই যুগে সহজলভ্য তথ্যের বিকল্প নেই। জেলা ব্র্যান্ডিং এর জন্যেও বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ধরণের তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটে এসব তথ্যের সহজলভ্যতা মানুষের ভোগান্তি দূর করে জেলার পর্যটন, পণ্য সহ বিভিন্ন কিছুতে আগ্রহী করবে। এতে ব্র্যান্ডিং এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
জেলা পর্যায়ে ই-কমার্সের প্রসার : আরিফা মডেল টি যেহেতু ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাই এটির অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে জেলা পর্যায়ের ই-কমার্সের প্রসার। আরিফা মডেল কে কেন্দ্র করে দেশের প্রায় সবকটি জেলার পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অগণিত আসছে ফেসবুকে। এর ফলে নতুন নতুন পণ্যের সাথে পরিচিত হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এবং ব্যবহারেও আগ্রহী হচ্ছে। দেশি পণ্যের ই-কমার্সের কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাচ্ছে এসব পণ্য এবং জনপ্রিয় হচ্ছে জেলা পর্যায়ের ই-কমার্স।
আরও পড়ুন : জেলা ওয়েবসাইটের ক্যাম্পেইন পোস্ট।
আরিফা মডেল দ্বারা সাধারণ মানুষরাও উপকৃত হচ্ছে দারুণ ভাবে। ইন্টারনেটে তথ্যের সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় দিনে দিনে কমে আসছে তথ্যের ভোগান্তি। এসব তথ্যের জন্য সেসব স্থানে না গিয়েই নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারছে ও পারবে। এতে সময় ও অর্থ উভয় বাচবে।
আরিফা মডেল থেকে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোক্তারা উপকৃত হবে। যারা দেশি পণ্যের ই-কমর্স উদ্যোক্তা তারা সহজের বিভিন্ন তথ্যের উৎস সম্পর্কে জানতে পারতেছে। পর্যটনখাতের উদ্যোক্তারা তথ্যের সহজলভ্যতাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটক আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। এভাবে বিভিন্নখাতের উদ্যোক্তা উকৃত হবে এ মডেল থেকে।
জেলার অর্থনীতিতে অবদান রাখবে আরিফা মডেল। জেলার পর্যায়ের পণ্য, পর্যটন ও সম্ভাবনা গুলো যতবেশি পরিচিতি পাবে ততবেশি চাহিদা তৈরি হবে এসব পণ্য ও পর্যটনে। জেলার বাহির থেকে মানুষের আর্থ আসবে জেলার ভিতর। এ লেনদেন সরাসরি জেলার অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও এসব চাহিদার যোগান দিতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ও উদ্যোগ তৈরি হবে। চলমান উদ্যোক গুলোতে কর্মীর চাহিদা পূরণ হবে। এতে সৃষ্টি হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান। এই অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হবে জেলা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তাই বলা যায় জেলা ওয়েবসাইট গুলোর জন্য আরিফা মডেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, জেলা পর্যায়ে প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং ছড়িয়ে দিতে জেলা ওয়েবসাইট গুলোর জন্য আরিফা মডেল চমৎকার একটি ক্যাম্পেইন।
জেলা ওয়েবসাইটের ক্যাম্পেইন