Afsana Bhuyan Nipa : মন্ডাতে ছোট বেলার স্বাদ পেয়েছি
’মন্ডা আর একজন দেলোয়ার ভাই। আমার বেসিক কিছু সমস্যা আছে। আমি চাইলেই কারো পন্যের রিভিউ দিতে পারি না। যতক্ষণ পর্যন্ত নিজে ব্যবহার করে না দেখবো। আমার পুরোনো রিভিউ পোস্ট গুলো দেখলে বুজতে পারবেন।
আমার জন্ম বা বেড়ে ওঠা সব ঢাকাতে তবে আমি ঢাকা দোহারের মেয়ে। বলতে পারেন অনেক ক্ষেত্রে খাটি ঢাকাইয়া। যদিও আগে বিক্রমপুর আর দোহার একই ছিল পরে আলাদা হয়ে গেছে। যাই হোক, আমরা একটু ভোজন রসিক বা ভোজন বিলাসী বলতে পারেন। খাবারের সাথে আমরা আর যাই হোক কমপ্রোমাইজ করিনা। তেল, মশলা, খাঁটি সব কিছু আমাদের নখদর্পণে জানা।
আর আমার মার দেশের বাড়ি জামালপুর। শুনেছি ময়মনসিংহ আর জামালপুর আগে এক ডিস্ট্রিক ছিল পরে আলাদা হয়েছে। তাই ছোট থেকেই মন্ডা আমরা প্রচুর খেয়েছি। তাছাড়া পাবনার প্যারাডাইস মিষ্টির প্যারা খাননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। ওটাও আমার মায়ের কাজিনদের। তাই ছোট থেকেই খাটি বা অরিজিনাল স্বাদ আমাদের জানা।
মন্ডা আর প্যারা আমার প্রিয় মিষ্টির মাঝে। খুব মিষ্টি নয় বলে অনেকটা খাওয়া যায়। তাই দেলোয়ার ভাই এর থেকে মন্ডা নেবার পর মনে হয়েছিল সে স্বাদটা পাবো কিনা একটু সঞ্চয় বোধ করছিলাম। মন্ডা খাবার পর এতো ভালো লেগেছে। মনে হয়েছে সে ছোট বেলার স্বাদটা মন্ডাতে পেয়েছি। এতো মজার। আর আমার মেয়ের খুব ভালো লেগেছে মন্ডা। ইয়াম্মি লেগেছে তার কাছে।
রাম গোপাল পাল ১৮২৪ সালে এই মিষ্টি প্রথম তৈরি করেন। মুক্তাগাছার মন্ডা, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার একটি বিখ্যাত মিষ্টি। বর্তমানে শ্রী রামেন্দ্রনাথ পাল ভ্রাতৃদ্বয় ব্যবসা চালান। তারা গোপাল পাল পরিবারের পঞ্চম বংশধর। রামেন্দ্রনাথ বলেন, জমিদার বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। সেখানে আগত অতিথিদের মন্ডা দিয়েই আপ্যায়ন করা হতো। রস নেই বলে এই মিষ্টি খেতে দেওয়া হতো।
মন্ডার প্রধান উপকরণ ছানা, চিনি, গুড়। মন্ডা দেখতে গোলাকৃতি আবার চারকোনা হয়ে থাকে। মন্ডা সাধ ও সাধ্যের ভেতরে। খুব মজা লেগেছে দেলোয়ার ভাইয়ের অনুরাধা মন্ডা। একটু গুছিয়ে নিয়ে আবার বলবো দেলোয়ার ভাইকে মন্ডা পাঠিয়ে দিতে। ওহ দেলোয়ার ভাই কে বা কেমন এটা আমার চাইতে ভালো জানবেন পুরোনো মেম্বার যারা আছেন। তবু দেলোয়ার ভাইকে আমার কাছে সহজ, সরল লেগেছে। আমি দেলোয়ার ভাইকে দেখেছি ৩ বার, তাই চিনি দেলোয়ার ভাইকে। জানিনা বা জানার এখনো সৌভাগ্য হয়নি। যতটুকুন দেখেছি ভালো লেগেছে আমার।’
সূত্র : Afsana Bhuyan Nipa