আলেয়া পারভীন : গত ২৫ তারিখে ধানমন্ডি লেকে স্যারের সাথে মিট আপের সময় Md. Daloare Hossain ভাইয়ের সাথে দেখা হয়৷ ভাইয়ের তুলশীমালা চালের এত্ত এত্ত রিভিউ পড়েছি খাওয়ার ইচ্ছে ছিলো বহু দিনের। কিন্তু মাসের প্রথমেই পাড়ার দোকান থেকে লিস্ট অনুযায়ী মাসের বাজার করা হয় বলে ভাই থেকে আর তুলশীমালা চাল নেওয়া হয়ে উঠে না। এখনতো আবার নতুন জ্বালা। হাজবেন্ড মেঘনা গ্রুপে জয়েন্ট করাতে ওখানে তো নতুন সুযোগ হয়েছে “ফ্রেশ” এর সব আইটেম কোম্পানি প্রাইসে ক্রয় করা যায়। তার মধ্যে পোলাওর চালও আছে। জামাইতো আর বাইরের চাল কেনার পক্ষে না। তারপরও ভাইয়ের কাছে ৫ কেজি চাল অর্ডার করি। ২৬ তারিখ, সকালেই চাল চলে আসে।
আর আমিও জামাইকে এ চালের প্রতি আকর্ষিত করার কোনো রকম সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইনি। প্রমাণ করতে চেয়েছি, নিশ্চয়ই তুলশী মালাচালে এমন কোনো বিশেষত্ব আছে, যা এতোগুলা মানুষকে ভালো রিভিউ দিতে বাধ্য করেছে। আর এ চালে কি আছে আমি সেটা দেখার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়েছি। ফলাফল স্বরুপ তুলশীমালা চাল সব পরীক্ষাতেই ১০০ তে ১০০। কোনো রিভিউই ভুল প্রমাণ করেনি।
দেলোয়ার ভাই বলেছে, এখনকার চাল পুরাতন। সুবাস একটু কম হবে। এটা জেনেও আমি বিরিয়ানিতে গরম মসলা ইউজ করিনি। দেখতে চেয়েছি মসলা ছাড়া কেমন গন্ধ ছড়ায়। আমি যথেষ্ট খুশি এ কারণে মসলা ছাড়াও বিরিয়ানির টেস্টে কোনো প্রভাব পড়েনি। আর ভাইয়ের কাস্টমার খাতিরে তুলশীমালা চালে ডিসকাউন্ট ছিলো। এবং যথারীতি দেলোয়ার ভাইয়ের ম্যাসেন্জারের কনভারসন অনেক অমায়িক ছিলো।
তুলশীমালা চালের সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো এখন পর্যন্ত যাই রান্না করেছি ভাতগুলো একেবারে ঝরঝরা এবং সরু ছিলো। খেতে বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। দিনশেষে জামাইয়ের রিভিউ ছিলো, “আমার কাছে তো সব খাবার একই মনে হয়।” যাই হোক ভাই নতুন চাল আসলে আমি আবার রিপিট কাস্টমার হচ্ছি ইনশাআল্লাহ। আপনার জেলাভিত্তিক কাজের জন্য শুভকামনা।