ইসমাইল হোসেন : ’পরিবার সব সদস্য পারিবারিক কাজে গ্রামে, এইদিকে আমার অনেক ডেলিভারি আটকে আছে কি যে করব বুঝতে পারছিনা। হাজিগঞ্জ থেকে কুরিয়ার করা শুরু করলাম। অবশেষে না পেরে ঢাকা চলে আসলাম রাতে। সকালে প্রয়োজনীয় সব কাজ শেষ করছি আর শান্তিপূর্ণ ভাবে ছিলাম তখন মনে হল আরে দুপুরে কি খাব??? উই আমাদের সমস্ত চাহিদা পুরন করে দিয়েছে। কারন উই এ কি না পাওয়া যায়? সব কিছু পাওয়া যায় বলা যায়, একদম হাতের নাগালেম তন্দ্রা সরকার ফ্রোজেন ফুড নিয়ে কাজ করে। সাথে সাথে তন্দ্রাকে মেসেজ দিলাম তন্দ্রা আমার দুপুরের খাবার লাগবে আর কিছুই বলা লাগেনি। কারন আমি তন্দ্রা সরকার এর সপ্তষিস কিচেনস এর রিপিট ক্রেতা। তখন বাজে ১১.৩০ টা। কিছু সময় পরে তন্দ্রা ফোন দিয়ে জানাল ভাইয়া খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি। সাথে সাথে দেখলাম ১.২৫ টা বাজে। বাহ কত তারাতাড়ি তন্দ্রা রান্না করে পাঠিয়ে দিল! তুলশীমালা চাল দিয়ে ভাত, সরিষা ইলিশ, আলুর ভর্তা, করলা ভাজি, মিস্টিকুমড়া ভাজি, ডাল খাবার পেকেট খুলে অবাক হয়ে গেলাম। ভাতের চাউল এ যে একটা সুন্দর গন্ধ নাকময় হয়ে গেল। এত সুন্দর, কারন এই চাউল হল দেলোয়ার ভাইয়ের তুলশীমালা চাউল। তখন বুঝলাম কেন এত সুগন্ধি। করলা ভাজি খেয়েও খুব ভালো লেগেছে। আর বাকি খাবার কথা নাই বা বলি। মুহুর্তের মাঝেই খাবার শেষ হয়ে গেল। তন্দ্রা এক কথায় খাবার মান অনেক ভাল। আর হোটেলে গিয়ে খাবার দরকার হবেনা। এত সুস্বাদু খাবার থাকতে কেই বা হোটেলে এ গিয়ে খাবে? পুজা সামনে সুতরাং তন্দ্রা রবিবার থেকে আমি আছি ইনশাআল্লাহ তুই অনেক দুর এগিয়ে যাবি। ধন্যবাদ উই। উইয়ের জন্য আজ আমরা পাচ্ছি এবং আরও পাব।’
সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম।
লেখক : ইসমাইল হোসেন, ওনার জামদানি কাব্য।