বেকারত্ব হ্রাসে জেলা ওয়েবসাইট
বাংলাদেশের একটি প্রধান সমস্যা বেকারত্ব। বেকারত্ব বলতে আমরা বুঝি কর্ম না থাকা। বেকারত্ব সংখ্যা সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। “আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ৩ কোটি। প্রতিষ্ঠানটি আভাস দিয়েছে, কয়েক বছরে তা দ্বিগুণ হয়ে ৬ কোটিতে দাঁড়াবে, যা মোট জনসংখ্যার ৩৯.৪০ শতাংশ হবে।” বেকারত্ব কমাতে প্রয়োজন দক্ষতা উন্নয়ন, নিজ নিজ উদ্যোগ গ্রহণ ও সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
দক্ষতা বৃদ্ধি ও উদ্যোগ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়, যুব উন্নয়ন, বিডা সহ কাজ করছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তবে আমার মনে হচ্ছে তা ফলপ্রসু করতে আমাদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে, নিজেদের প্রয়োজনে। ইন্টারনেট কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পছন্দের ফিল্ডে দক্ষতা অর্জন করে আয়ের পথ অনুসন্ধান করতে হবে। প্রতিটি দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০% মানুষ সুযোগ পেয়ে থেকে সরকারি চাকরির। বেসরকারি খাতেও হয় কিছু চাকরি। চাইলেও সবাই পাবে না চাকরির সুযোগ। তবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের চারপাশে রয়েছে হাজার হাজার সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নেওয়া যায় নতুন নতুন উদ্যোগ। আর এভাবে সৃষ্টি করা যায় নতুন কর্মসংস্থান।
জেলা ওয়েবসাইট তৈরি করে উদ্যোক্তারা শুরু করতে পারে কর্মসংস্থান অনুসন্ধানের জার্নি। জেলা ওয়েবসাইট কে করা যায় বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধানের মাধ্যম। যেমন : জেলায় উৎপাদিত পণ্য গুলো সোর্সিং করে ই-কমার্সের মাধ্যমে সারাদেশে বিক্রি করা যায়। ই-ট্যুরিজম ব্যবহার করে নিজের জেলাকে তোলে ধরার মাধ্যমে আয় করা যাবে পর্যটন শিল্প থেকে। ই-লার্নিং এর মাধ্যমে জেলা ও জেলার বাহিরে পাঠদান করে আয় করা যাবে রেভিনিউ। ডোমেইন-হোস্টিং, লজিস্টিক সার্ভিস সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানীর ডিস্টিবিউটর হওয়ার মাধ্যমে জেলা ওয়েবসাইট হতে পারে শত শত আয়ের মাধ্যমে।