অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে…
প্রত্যেকটি জেলার পণ্য, সেবা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি সহ নিজস্বতা রয়েছে বিভিন্ন শাখায়। শেরপুরের নিজস্বতা রয়েছে ইতিহাস, সাহিত্য, পণ্য ইত্যাদিতে। ২০১৮ সালে শেরপুরের জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে তুলশীমালা চাল। এছাড়াও এ জেলায় রয়েছে পাথর, রাবার ইত্যাদি। আজ আমি শেরপুরের সাহিত্য বা ইতিহাস আলোচনা না করে শুধু ফোকাস করবো জীবন মান ও অর্থনীতিতে। বাঙালিদের জীবন মান উন্নয়ন হলেও পিছিয়ে যাচ্ছে আদিবাসীরা। তাদের অর্থনীতি পুরুদ্ধারে জেলা ওয়েবসাইটের সম্ভবনা ব্যাপক।
দেশের সীমান্ত কন্যা শেরপুরে রয়েছে গারো-কোচ-হাজং-হদি-ডালুদ সম্প্রদায়ের বসবাস। তাদের সবগুলো গোষ্ঠীকে একত্রে বলা হয় আদিবাসী। তারা বাস করে গারো পাহাড় ও আশেপাশের গ্রাম গুলোতে। আদিবাসীদের পরিবার প্রধান মেয়েরা অর্থাৎ মাতৃতান্ত্রিক পরিবার। ছোট বড় সবাই ভূমিকা রাখে পরিবারে। ঘর তৈরি থেকে শুরু করে পোশাক তৈরি পর্যন্ত সবকিছুই করে নিজেরা। আদিবাসীদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরিচ্ছেদ। নিজেরা উৎপাদন করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করে এবং বিক্রি করে অর্থোপার্জন করে। একটা সময় জেলার বাঙালিদের কাছে পোশাক বিক্রি হলেও বর্তমানে হচ্ছে না। যার ফলে শুধু নিজেদের চাহিদা মেটাতে তৈরি করেও খরচ বহন করতে পারছে না। যার ফলে উৎপাদন বন্ধ করে গার্মেন্টস পোশাকে নির্ভর হচ্ছে আদিবাসীরা।
আধুনিক ডিজাইনে পোশাক উৎপাদন করে ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রমোশন করতে পারে জেলা ওয়েবসাইট উদ্যোক্তারা। এতে বেঁচে যাবে আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক, স্বচ্ছল হবে তাদের পরিবার, বৃদ্ধি পাবে জেলা ব্র্যান্ডিং, সমৃদ্ধ হবে জেলার অর্থনীতি। আমরা চেষ্টা করতেছি প্রাথমিকভাবে আদিবাসী সংস্কৃতির গামছা ও চাদরের মাধ্যমে তাদের তাঁত পুনরুদ্ধার করার। এভাবে প্রত্যাক জেলার “জেলা ওয়েবসাইট” উদ্যোক্তারা নিজ জেলার বিলুপ্তির পথে যাওয়া পণ্য গুলো টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে তাহলে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে শত শত দেশি পণ্য। তা দেশের জিডিপিকে শক্তিশালীও করবে। এটি একটি সামাজিক উদ্যোগও বটে।