Our Sherpur

হারিয়ে যাওয়া সব স্বাদ ফিরে পেয়েছি মন্ডায় – Sirajum Munira

শেরপুরের মন্ডা

সিরাজুম মুনিরা : ‘তুমি না থাকলে সকাল টা এতো মিস্টি হতোনা, বলছি কার কথা?? আওয়ার শেরপুর এর মন্ডার কথা আমি চোখ বুজে কিছু জিনিস এর উপরে ভরসা করি উইতে আশার পরে৷ আর তা হচ্ছে খাবার। আর তাই রাজিব ভাইয়াকে সারপ্রাইজ দেয়ার সাথে সাথে নিজেও বিশাল সারপ্রাইজ পেয়েছি! মেহরিমার কোন খাবার ভালো না লাগলেও সে আলহামদুলিল্লাহ উই এর সব আপুদের থেকে নেয়া খাবার মজা করে খেয়েছে এই পর্যন্ত। তার মধ্যে মামারো আছেন অন্যতম হচ্ছে তার মামা Md. Daloare Hossain ভাইয়ার তুলশীমালা চাল ও মন্ডা এসেছে রাজিব ভাইয়ার পক্ষ থেকে। আর তা ডেলিভারিতে এসেছিলেন আরেক মামা Protap Palash ভাইয়া। তুলশীমালা চাল ছাড়া ওকে কোন খাবার দিয়ে যেমন শান্তি পাইনি। তেমন ভাবে উই এর এই অথেনটিক স্বাদের মিস্টি গুলোর স্বাদ আমি আর কোথাও পাইনি। আমার গ্রামের বাড়ি বরিশাল এর ছোট্ট একটা গ্রামে সেখানে প্রতি বছর প্রায় যাওয়া হতো আর প্রতিদিন আমরা নিয়ম করে নদীর পাড় যেতাম আসলেই আমিই সবাইকে জোর করে নিয়ে যেতাম। নদীর পারে কিছু দোকান ছিল যার মধ্যে একটা মিস্টির দোকান ও ছিল৷ সে নিজ হাতে মিস্টি বানাতো দোকানেই। আর শুকনো মিস্টি ভেতরে একদম সফট আরেক্টা ছিল রসগোল্লা আরেকটা হচ্ছে সন্দেশ! মুখে দিলেই মিলিয়ে যেত একদম উফফফ… গতকাল মন্ডা আমি প্রথম খেলাম। আমি আগে কখনো খাইনি৷ কিন্তু দুই দিন ধরে মনে হচ্ছে আমি এটা আগেও খেয়েছি! আজকে সকালে খেতে খেতে সেই গ্রামের কথা মনে পরে গেল! সব কাজিনরা মিলে লুকিয়ে লুকিয়ে চাচার দোকানের পাশের একদম খাটি দুধ দিয়ে তৈরি সন্দেশ গুলোর স্বাদ ও ঘ্রানের সাথে এই মন্ডার অসম্ভব মিল আছে। একদম খাটি একটা ভাব। একদম হালকা মিস্টি আর এতো অসাধারণ ভাবে আলাদা করে প্যাকেট করা প্রতিটি পিস দেখতেই ফুলের মতো লাগে! দেলোয়ার ভাইয়া এই স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য আপনাকে স্পেশাল ধন্যবাদ। একদম হারিয়ে যাওয়া সব স্বাদ গুলো ফিরে পেয়েছি এই মন্ডার সাথে। পোস্ট লিখতে লিখতে আরো দুটো শেষ করে ফেলেছি! ধন্যবাদ রাজিব ভাইয়া ও দেলোয়ার ও প্রতাপ ভাইয়া সবাইকে। যদিও কাল নিচে নেমে দেখা করতে পারিনি প্রতাপ ভাইয়ার সাথে তাই এখনো খারাপ লাগছে। আর মেহরিমার জন্য দুটো চকলেট ও ছিল কিন্তু সাথে। সেখানেও ভাগ বসিয়েছি।’

সূত্র : ‍উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম

Leave a Reply

Scroll to Top