তাহমিনা কেয়া : ’তুলশীমালা চাল জিবনে প্রথম নাম শুনেছি। মা কে ফোনে জিজ্ঞাসা করলাম কেমন চাল এইটা। মা বলে তুলসী পাতা দিয়া চা খাইছি তুলশীচালের ভাত খাই নাই। তোর মত অত হাবিজাবি খাইতে আমার মন চায় না, খাইও না। বেশ গেলাম চুপশায়। আবার কিছু দিন পর এক আপুকে দেখি তার বেবিদের খাওয়ানোর ছবি সহ রিভিউ দিল উইতে। মনে জোড় আসল। আমার আকিফিন মানে আমার চড়ুইপাখি মানে আমার কলিজা ছেলে পোলাও খাইতে চায় না। অনেক ঘ্রাণ হয়ত এই জন্য। আপুর রিভিউ দেখে মনে হল আমিও খেয়ে দেখি। তারপর দেলোয়ার ভাইকে বললাম উনি প্যাকেজিং এর সিস্টেম এর কথা জানালেন। আমি ১ কেজি কিনতাম সেখান ২ কেজি বলেছি ভদ্রতার খাতিরে। উনি জানালেন ২.৫ কেজি নিতে হবে। একে নতুন জিনিস তারপর এত কেজি নিব?? কারন আমরা বাসায় সদস্য সংখ্যা কম। প্যাকেজিং সিস্টেম এর কথা শুনলে অনেকে না কিনে ফিরে যেতে পারে বলে মনে হল। আর দাম টা ও একটু বেশি। যাই হোক এখন আসি মুল কথায় আলহামদুলিল্লাহ আজ প্রথম আমার চড়ুইপাখি পোলাও খেয়েছে এবং পুরাটা ভাত সে শেষ করল। দাম নিয়ে যে এত হম্বিতম্বি করেছিলাম সব নিমিষে উধাও। কারন ভালো জিনিসের দাম একটু বেশি হয়।’
সূত্র : উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম।