সাজিয়া আফরিন : আগামীকাল ঈদ উল আজহা। সবাই কে জানাই অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।
আমার পরিকল্পনা ছিল এবারের ঈদে মিষ্টি খাবার আইটেমের থাকবে Md Daloare Hossain ভাইয়ের তুলশীমালা চালের পায়েস, দইওয়ালা (Nazir Uddin) ভাইয়ের দই এবং ঘিয়ে ভাজা চিনিপাতা সেমাই।
তাই অর্ডার করেছিলাম এবং সব গুলো পন্য ঠিক মতো হাতে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ।
দইওয়ালা ভাইয়া নিজেই দই এবং লাচ্ছা সেমাই নিয়ে হাজির। সাথে ছিলেন নকশিওয়ালা Protap Polash ভাই। ব্যাপারটা ছিল আমার কাছে চমকপ্রদ? কিন্তু তাড়াহুড়ো করে কোন ছবি তুলতে পারি নাই।? তবে পরবর্তীতে আগে ছবি তুলে নেবো ইনশাআল্লাহ। কারণ দুইজনই আমার প্রতিবেশী। তবে প্রতাপ ভাই যে আমার এতো নিকট তম প্রতিবেশী তা আমার অজানা ছিল।
এবার আসি দই এর কথায়। যেহেতু ঈদের দিন দই খাওয়ার জন্য নিয়েছি তাই দইওয়ালা ভাইয়া বলেছেন দুই দিন ফ্রিজে রাখলে দইয়ের স্বাদ নষ্ট হবে না। তাই দইওয়ালার কথা মতো আমি যখন দই ফ্রিজে রাখতে গেলাম তখন আমার মেয়ে বাধা দিয়ে বললো WE কখনো ভাল খাবার বাচ্চাদের না খেতে দিয়ে ফ্রিজে বন্দী করে রাখতে বলে না।
তাই মেয়ের কথা শুনে দইয়ের পাত্রটা তাড়াতাড়ি তার হাতে দিয়ে দিলাম এবং পাত্র খালি হতে বেশি সময় লাগে নি?? কিন্তু লাচ্ছা সেমাই টা ঈদের দিনই রান্না করবো ইনশাআল্লাহ।?
আলহামদুলিল্লাহ! ভেজাল খাবারের শহরে বাস করে উই এর মাধ্যমে দইওয়ালার এতো সুস্বাদু দই বাচ্চাদের মুখে তুলে দিতে পারছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এবং উই এর কাছে কৃতজ্ঞ।
দই এতো মজার হয় তা দইওয়ালা ভাইয়ের দই না খেলে কেউ বুঝবে না। দই দিয়ে যে পানি বের হয় না এই নজির নাজীর ভাই দেখিয়ে দিলেন।দইতে মিষ্টির পরিমাণ একদম ঠিক ছিল। আর প্যাকেজিং ছিল অসাধারণ। দোয়া করি দইওয়ালা ভাইয়ের দই সারা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে পড়ুক, সেই সাথে দেশের বাইরেও।