Salma Akther Jahan
ছালমা আক্তার জাহান : ’রিভিউ দিতে আমাকে না বলা হলেও আমি দেই। কারন আমি মনে করি একজন ক্রেতা হিসেবে একটা সুন্দর রিভিউ দেওয়া আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যদি কোন পণ্য ভালো লাগে তাহলে পজিটিভ রিভিউ দেই, আর না লাগলে বোঝার চেষ্টা করি যে আসলে এটাতে বিক্রেতার দোষ নাও থাকতে পারে। তাই কোন নেগেটিভ রিভিউ দেইনি।
যাই হোক, আজকের রিভিউ দেলোয়ার ভাইয়ার তুলশীমালা চাল নিয়ে। উইতে জনপ্রিয় পণ্যের যদি কোন তালিকা করা হয়, তাহলে আমার মনে হয় তুলশীমালা চাল সবার প্রথমে আসবে। তাই এর গুনাগুণ সম্পর্কে বলাই বাহুল্য।
আজকের সকালের নাস্তায় ছিলো তুলশীমালা চাল দিয়ে ইলিশ খিচুড়ি। আমার বর অনেক দিন ধরেই ইলিশ খিচুড়ি খেতে চাচ্ছিলো। আমি চাইলেই যে কোন পোলাও এর চাল কিনে ইলিশ খিচুড়ি রান্না করে দিতে পারতাম। কিন্তু, আমি চাচ্ছিলাম ওকে স্পেশাল খাবার করে দিতে। তাই কয়েকদিন অপেক্ষা করে তুলশীমালা চাল দিয়েই করলাম সেই স্পেশাল খাবার। সাথে ছিলো Ummu Amatullah আপুর থেকে নেয়া ঘি (আপু, ভয় নাই, আপনার রিভিউ আলাদা করে স্পেশাল ভাবে দিবো। এমন রিভিউ যা আগে কেউ কখনো দেয় নি, যা খাবারের স্বাদকে দ্বিগুণ করে দিয়েছে।
স্বাদের কথায় মনে পড়লো একটা কথা। আমার নানা প্রতি বেলায় খাওয়ার পর খুব তৃপ্তি নিয়ে বলতেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমাদের বেহেস্তী খাবার খাওয়ালেন। আজ, সকালের নাস্তা খেতে বসে সাথে সাথে আমার নানার সেই কথাটাই মনে হয়েছে, “বেহেস্তী খাবার”।
তুলশীমালা চালের খিচুড়ির সাথে অসাধারণ সুঘ্রাণের ও খাঁটি ঘি দিয়ে যখন খেয়েছি, প্রতি লোকমায় আমার পেট খুশি হয়েছে। বাঁচার জন্য আমরা তো পেট ভরে খাবার খাই। কিন্তু সব সময় পেট ভরে, মন ভরে না। আজকের সকালের নাস্তা ছিলো মন প্রাণ তৃপ্ত করা খাবার, আলহামদুলিল্লাহ।
দেলোয়ার ভাইয়াকে ধন্যবাদ, এতো সুন্দর একটা চালকে আমাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। ভাইয়ার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সকালের তাড়াহুড়োয় খিচুড়ির কোন ছবি তুলতে পারিনি। সব খাবার চেটেপুটে খেয়ে শেষ।’
This post collected form Salma Akther Jahan.
Source: Salma Akther Jahan