Jannatun Naher Liya
জান্নাতুন নাহার লিয়া: ’কয়েকদিন আগে আমি বলছিলাম আমার সিগনেচার ডিজাইনের মধ্যে একটা হচ্ছে “বাঁশ” প্যাটার্ন। কারণ এই ডিজাইনটাও জীবনমুখী নকশা। আমরা সবাই কম বেশি বাঁশ খাই জীবনে। আমরা কেউ পড়াশুনায় বাঁশ খাই, কেউ কর্মক্ষেত্রে খাই, কেউ পারিবারিক জীবনে খাই। তাই বাঁশ আমাদের জীবনের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত! এই যেমন আজকের দিনটা শেষ হলো বাঁশ খেয়ে।
স্যার যখন পোস্ট দিলেন আমরা যে কোনো ১দিন সারাদিনের সব খাবার যদি উই থেকে অর্ডার করি, তাইলে আমাদের অনেক সময় বাঁচে। রেস্ট হয়। ডিনার করতে করতে আমি এই পোস্ট পড়ছিলাম! আর Biply দির থেকে অর্ডার করা খাবার খাচ্ছিলাম। সেখানেই ছিল ব্যাম্বো চিকেন। আপুর পেইজের নামঃ হেবাং
সাদেক আর আমার সব সময় প্রিয় ভ্যাকেশন কাটে পাহাড়ে বসে এই পাহাড়ি খাবার গুলো খেয়ে। খেতে খেতে সাদেক বলছিলঃ মনে হচ্ছে পাহাড়ে বসে খাচ্ছি! পাহাড়ি খাবার ব্যক্তিগত ভাবে আমার পছন্দ কারণ পাহাড়ি খাবারে ঝালটা বেশি থাকে আর মিষ্টিটা কম হয়। ঠিক আমি যেমন পছন্দ করি! (যদিও সাদেকের খবর হয়ে যায় ঝালে। তাও সে খায়)
আহা! আমি রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান মিস করছিলাম!
আমি ঢাকায় ঘরে বসে পাহাড়ি খাবার খাচ্ছি! ভাবা যায়!
আমি ঢাকার এক প্রান্তে বলে ভেবেছিলাম ~ হয়ত হোম ডেলিভারি পাব না, তাই এতদিন অর্ডারও করি নি। এখন থেকে আমার আর পাহাড়ি খাবার খেতে হুটহাট পাহাড়ে যেতে হবে না! ওই যে ট্যুর দিতে না পেরে আমি হা পিত্তেস করছিলাম! এখন আমার সেই হা পিত্তেস ঘুচে গেলো উই এর উছিলায়! নাইলে এই মহামারির দিনে আমি কেমনে পাহাড়ে যেতাম আর ব্যাম্বো চিকেন খেতাম? আর অন্যান্য সব আইটেম খুবই মজা ছিল! ডেলিভারি সিস্টেম, দাম আর খাবারের মান ১০/১০..
বিপলি দি যখন জানালের তুলশীমালা চালের ভাত পাঠাবেন আমি তো খুশি হয়ে গেছি! এই সুযোগে তুলশীমালা চালও খেয়ে ফেললাম।
এখানে অল্প করে ছবি দিয়েছি! বেশি দিয়া কি লাভ। কারণ যারা পাহাড়ি খাবার পাবে না, তারা উল্টা কান্নাকাটি করবে, বলবে~ এই রাতে আমি কেন তাদের খিদা লাগাইলাম!’
Post source: Jannatun Naher Liya