আফসিনা জান্নাত: দেলোয়ার ভাইয়ার কাছে বেশ কিছু দিন আগে তুলশীমালা চাল অর্ডার করি আম্মুর আগ্রহে। করার পর অপেক্ষার পালা কবে আসবে কবে আসবে। বিধি বাম অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ডেলিভারিতে। শুধু দেলোয়ার ভাইয়ার কাছেই না সায়মা আপুর কাছে থেকেও। আপুর কাছ থেকে মুড়ি দুই রকম চানাচুর নিয়েছি এইগুলোর রিভিউ পরে দিব।
যেদিন তুলশীমালা চাল পাই ওইদিন বাসায় মেহমান ছিলো তাই পাওয়ার সাথে সাথে কোন রকম জাস্ট রেখে কাজে ব্যাস্ত ছিলাম। আম্মু একটা বক্সেরর ভিতর রেখেছিলো। ২/৩ দিন পর আম্মু গোছাতে গিয়ে আমাকে ডাক দিয়েছে দিয়ে বলছে দেখ ঘ্রাণে বক্স পুরো ভরে গেছে অথচ চালের প্যাকেটের মুখও খুলি নি। এবার রান্নার পালা। চাল পাওয়ার পর থেকে আমি পাগল করে ফেলছি, আম্মু কবে রান্না করবা, কি করবা বলে বলে। অবশেষে বৃষ্টির দিনে আম্মু খিচুড়ি রান্না করে দিয়েছে। রান্নার সময় আম্মু বলছে কই কোন ঘ্রান নাই তো!!
আমার ছোট বোন চিৎকার করে বেড রুম থেকে বলছে আম্মু কি করো এতো সুন্দর ঘ্রাণ?!! আম্মুই পাচ্ছিলো না তখন কিন্তু পুরো ঘর ঘ্রানে ম ম করছিলো। একটু পর ডেকে নিয়ে বলতেছে আচ্ছা এটা কি পোলাও এর চাল নাকি তুলশীমালা? অন্তত ১০ বার বলছে? কোন ভাবে বিশ্বাস করাতে পারি না এটা তুলশীমালা??। স্বাদ আলহামদুলিল্লাহ ভালো (আমার আম্মুর হাতের রান্নাতো তাই একটু বেশি ভালো???)। পোলাও বিরিয়ানি, পায়েস, খিচুড়ি, জাউ সব কিছুই করতে পারবেন তুলশীমালা চাল দিয়ে ইভেন ভাত হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারবেন।
গতকালের একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি। বাসায় গেস্ট আসছে খিচুড়ি রান্না করবে। আমি যথারিতি বল্লাম আম্মু তুলশীমালা চাল দিয়ে রান্না করো। আমাকে বলে নাহ ওইটা দিয়ে করবো না। আমারা নিজেরা খাব। বেশি নাই শেষ হয়ে যাবে??। ধন্যবাদ দেলোয়ার ভাই আমাদের নতুন কিছু টেস্ট করানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য।
সূত্র: ফেইসবুক।